পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির নেতা ইমরান খান তার চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনকে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মুজিবুর রহমানের লড়াইয়ের সঙ্গে তুলনা করেছেন। ইমরান দাবি করেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর লড়াই ছিল সত্যিকারের। জনগণের ম্যান্ডেট পাওয়া রাজনৈতিক দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করায় পাকিস্তান ভেঙে দুই টুকরো হয়েছিল।

বুধবার (২ নভেম্বর) পাকিস্তানের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য ডন অনলাইন এ খবর জানায়।

গত শুক্রবার আগাম নির্বাচনের দাবিতে ইসলামাবাদের উদ্দেশে লংমার্চ শুরু করেন ইমরান। লাহোর থেকে শুরু হওয়া এ লংমার্চে সাড়া দিচ্ছেন লাখো কর্মী-সমর্থক। উত্তর পাঞ্জাবের গুজরানওয়ালায় লংমার্চের পঞ্চম দিন মঙ্গলবার এক জনসভায় ইমরান খান ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। সেখানে উঠে আসে ১৯৭০-এর নির্বাচন ও বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রসঙ্গ।

ইমরান বক্তব্যে পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা জুলফিকার আলি ভুট্টোর কঠোর সমালোচনা করে বলেন, ‘একজন ধূর্ত রাজনীতিক ক্ষমতায় থাকার লোভে দেশের বৃহত্তম ও নির্বাচনে বিজয়ী দলটির (আওয়ামী লীগ) বিরুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীকে নামিয়ে দিয়েছিলেন। এতে দেশ (পাকিস্তান) ভাগ হয়ে যায়।’

বাংলাদেশে স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে তুলনা করে পিটিআই নেতা বলেন, তার দল দেশের বৃহত্তম ও একমাত্র জাতীয় দল। এর পরও সরকার নতুন নির্বাচনে তান অংশগ্রহণের পথ বন্ধ করেছে।

জুলফিকার আলি ভুট্টোর সমালোচনা করে ইমরান বলেন, সবাই জানেন, শেখ মুজিবুর রহমানের দল ১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়েছিল। এ অবস্থায় ক্ষমতা হস্তান্তর না করে একজন ধূর্ত রাজনীতিক আওয়ামী লীগ ও সেনাবাহিনীকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেন। বর্তমানে নওয়াজ শরিফ ও আসিফ আলি জারদারি একই ভূমিকায় আছেন।

নয়া শতাব্দী/আরআর