ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

মিলিশিয়াদের সঙ্গে হাত মেলাতে মাজার-ই-শরিফে আশরাফ গনি

প্রকাশনার সময়: ১২ আগস্ট ২০২১, ০৫:৩৪

তালেবানের অগ্রযাত্রাকে সামনে রেখে আফগানিস্তানে সেনাপ্রধানকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। দেশটির ৩৪টি প্রদেশের মধ্যে বর্তমানে ৯টি তালেবানের নিয়ন্ত্রণে।

সর্বশেষ গজনি শহরে প্রবেশ করেছে তারা। সেখানে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে তালেবানের তীব্র লড়াই চলছে। এরই মধ্যে তালেবানবিরোধী ঐতিহ্যবাহী মিলিশিয়াদের সঙ্গে বৈঠক করতে উত্তরাঞ্চলীয় শহর মাজার-ই-শরিফে সফর করেছেন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি।

বুধবার (১১ আগস্ট) সেনাপ্রধান ওয়ালি মোহাম্মদ আহমাদজাইরকে অপসারণের খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। গত জুন থেকে তিনি ওই পদে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তার উত্তরসূরিকে দেশজুড়ে তালেবানের সহিংসতা মোকাবিলা করতে হবে।

নৃতাত্ত্বিক উজবেক নেতা আবদুল রশিদ দোস্তাম ও নৃতাত্ত্বিক নেতা আত্তা মোহাম্মদ নুরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি। দোস্তাম বলেন, তালেবান বেশ কয়েকবার উত্তরাঞ্চলে এসেছে। কিন্তু প্রতিবারই তারা ফাঁদে আটকা পড়ে গেছেন।

আফগানিস্তানের সামরিক বাহিনীকে শক্তিশালী করতে যুদ্ধবাজ নেতাদের সবসময় দূরে সরিয়ে রাখতে চেষ্টা করেছেন আশরাফ গনি। কিন্তু তালেবানের হামলার মুখে এবার তাদের দারস্থ হতে হয়েছে তাকে।

উজবেকিস্তান ও তাজিকিস্তানের সীমান্তে মাজার-ই-শরিফের অবস্থান। তালেবানের হাতে শহরটির পতন হলে উত্তর আফগানিস্তানের ওপর থেকে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলবে আশরাফ গনি সরকার।

আফগানিস্তানের একটি বড় অর্থনৈতিক কেন্দ্র মাজার-ই-শরিফ। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে দেশটির সরবরাহ পথ বলা হয় এই শহরটিকে। শহরটির গুরুত্ব উপলব্ধি করেই সেখানে সফর করেছেন আশরাফ গনি। সেখানকার স্থানীয় নেতা ও যুদ্ধবাজদের সঙ্গে তিনি বৈঠক করেছেন।

সর্বশেষ ১৯৯০-এর দশকে শহরটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল তালেবান। তখন প্রতিদ্বন্দ্বী দোস্তামের সঙ্গে তাদের সন্ধি হওয়ায় খুব একটা প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয়নি।

এদিকে ত্রিশ দিনের মধ্যেই আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলকে বিচ্ছিন্ন করে দিতে পারে তালেবান বিদ্রোহীরা। আর নব্বই দিনে রাজধানী নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে পারবে তারা। বুধবার মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা এমন দাবি করেছেন। শুক্রবার থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত ৯টি প্রাদেশিক রাজধানী তালেবানের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে।

তীব্র গতিতে তালেবানের অগ্রসরের মুখে কাবুল কতক্ষণ পর্যন্ত টিকে থাকতে পারবে প্রশ্ন করা হলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা এমন দাবি করেছেন। তবে এই বক্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে তিনি গোয়েন্দাদের বরাত দিয়েছেন।

ওই কর্মকর্তা বলেন, আফগান নিরাপত্তা বাহিনী জোরালোভাবে প্রতিরোধ গড়লে তালেবানকে থামিয়ে দেওয়া সম্ভব। কাজেই এ নিয়ে আগে থেকেই কোনো সিদ্ধান্তে আসা যাচ্ছে না। বর্তমানে আফগানিস্তানের ৬৫ শতাংশ অংশের নিয়ন্ত্রণ তালেবানের হাতে।

মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেন, ভয় হচ্ছে, আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীরা কূটনৈতিক কোয়ার্টার্সে ঢুকে আতঙ্ক তৈরি করতে পারেন। সবাই যাতে সেখান থেকে আগেভাগে ভেগে যান, তা নিশ্চিত করতে তারা হামলা চালাতে পারে।

নয়া শতাব্দী/এসইউ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ