ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দরনগরী খেরসন কৌশলগতভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ মস্কো ও কিয়েভের জন্য। যা সম্প্রতি রাশিয়ার সাথে যুক্ত করে ঘোষণা দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। তবে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলটি পুনরুদ্ধারে মরিয়া হয়ে লড়াই চালাচ্ছে ইউক্রেনীয় সেনারা। ফলে পরিস্থিতি দিন দিন জটিল হয়ে উঠছে।
খেরসন পরিস্থিতি নিয়ে ইউক্রেনে নিযুক্ত রুশ বাহিনীর নতুন কমান্ডার জেনারেল সের্গেই সরুভিকিন বলেছেন, এ অঞ্চলটির পরিস্থিতি গুরুতর ও সেখানকার বাসিন্দাদের দ্রুত সরিয়ে নিতে হবে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে রুশ কমান্ডার দাবি করে বলেন, ইউক্রেনীয় সেনারা হিমার্স ব্যবহার করে খেরসন শহরের অবকাঠামো লক্ষ্য করে আঘাত হানছে। সাধারণ মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে নিশ্চিত করবে রুশ সেনারা।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর প্রথম দিকে খেরসনের নিয়ন্ত্রণ হারায় কিয়েভ। তবে সপ্তাখানেক ধরে পাল্টা হামলা চালিয়ে খেরসনের বেশ কয়েকটি এলাকা পুনরুদ্ধার করেছে ও লড়াই অব্যাহত রেখেছে।
এমন সংকটে রুশ জেনারেল আরো বলেন, সার্বিকভাবে এ অঞ্চলের সামরিক অভিযানকে জটিল এবং উত্তেজনাপূর্ণ হিসেবে বলা যেতে পারে।
খেরসন রাশিয়ার দখলকৃত ইউক্রেনের একমাত্র আঞ্চলিক রাজধানী। ডনেস্ক, লুহানস্ক, জাপোরিজ্জিয়ার পাশাপাশি খেরসন অঞ্চলকেও সম্প্রতি রাশিয়ার সাথে অন্তর্ভুক্তির ঘোষণা দেন ভ্লাদিমির পুতিন। তার এ ঘোষণাকে প্রত্যাখ্যান করেছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।
জেনারেল সুরোভিকিন বলেন, ইউক্রেনের রকেট হামলা খেরসনের আন্তোনিভস্কি সেতু ও কাখোভকা জলবিদ্যুৎ বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ফলে শহরের মূলে কেন্দ্রে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। সেখানে খাদ্য সরবরাহসহ প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো পৌঁছে দেয়া যাচ্ছে না।
সূত্র : বিবিসি
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ