ফিলিপাইনের জনবহুল দ্বীপ লুজনে শক্তিশালী টাইফুনের আঘাতে চার উদ্ধারকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরো একজন।
এর আগে দেশটির দুর্যোগ সংস্থা জানিয়েছে, রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে সুপার টাইফুন টাইফুন ‘নোরু’ আঘাত করার সময় প্রতি ঘণ্টায় এর বাতাসের গতিবেগ ছিল ২৪০ কিলোমিটার (১৪৯ মাইল)।
চলতি বছর ফিলিপাইনে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড় হলো নোরু। ঝড়টি স্থানীয় সময় রোববার রাতে এক কোটি ৩০ লাখ মানুষের আবাসস্থল ম্যানিলা থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার (৫০ মাইল) উত্তর-পূর্বে আঘাত হানে।
বুলাকান এলাকার গভর্নর ড্যানিয়েল ফার্নান্দো বলেছেন, প্রাদেশিক দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও ব্যবস্থাপনা কার্যালয়ের পাঁচজন কর্মী সান মিগুয়েল জেলায় উদ্ধার অভিযান চালানোর সময় আকস্মিক বন্যার পানিতে ভেসে গেছে।
ঘূর্ণিঝড় নোরুর ধ্বংসযজ্ঞ থেকে রেহাই পেতে সরকারি অফিস বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে ৭৪ হাজারের বেশি মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। আরো বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়ার কাজ চলছে।
নোরুর প্রভাবে ভূমিধস, আকস্মিক বন্যা এবং বিপজ্জনক ঝড়ের জন্য সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলার কিছু অংশে বড় ধরনের বন্যা দেখা দিতে পারে।
সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) এক ব্রিফিংয়ে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস বলেছেন, আমাদের আগে থেকে প্রস্তুতি নেয়ার কারণে ভাগ্য ভালো যে কম ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে এটা এখনও শেষ হয়নি।
এদিকে ম্যানিলার পূর্বাঞ্চলে কুইজন প্রদেশে মৎসজীবীদের আগে থেকেই সাগরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। কিছু এলাকা বিদ্যুৎ সরবরাহ রয়েছে। সেই সাথে বিমান এবং ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। লুজনে প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মারকোস সরকারি সব কাজ স্থগিত করেছেন। স্কুলের ক্লাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়াও সোমবার দেশটির স্টক একচেঞ্জ স্থগিত করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ