মিয়ানমারের একটি স্কুলে হেলিকপ্টার থেকে গুলিবর্ষণ করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। এতে ওই স্কুলের সাত শিক্ষার্থী ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো ১৭ জন। পরে জান্তার স্থলসেনারা গ্রামে অভিযান চালান। এ অভিযানে আরো দুই শিশু নিহত হয়।
গত শুক্রবার মিয়ানমারের সাগাইং অঞ্চলের তাবায়িনে জান্তার বিমান হামলা ও স্থল অভিযানে এ প্রাণহানি ঘটে। এ ঘটনাকে শিশু হত্যা বলে অভিহিত করেছে প্রতিরোধ বাহিনী। তবে জান্তা বলছে, তারা তাবায়িনে বিদ্রোহীদের হামলার জবাব দিয়েছে।
জানা গেছে, বিমান হামলায় নিহত সাত শিশুর লাশ নিয়ে যান জান্তা সেনারা। এ ছাড়া আহত ব্যক্তিদের পার্শ্ববর্তী এলাকার একটি হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো দুই শিশুর মৃত্যু হয়।
জান্তার তথ্য মন্ত্রণালয় বলছে, গ্রামটিতে কাচিন ইন্ডিপেনডেনস আর্মি (কেআইএ) ও প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে সেনারা অভিযান শুরু করেছেন। হামলার আগে প্রতিরোধযোদ্ধারা ও ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির চরমপন্থীরা স্কুলটিতে লুকিয়ে ছিলেন।
জান্তার বিরুদ্ধে লড়াই করছে পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস (পিডিএফ)। পিডিএফের নেতা বো কিয়ার গি বলেন, তারা (জান্তা) যদি আমাদের কাউকে মারত, তাহলে তা মেনে নিতাম। কারণ, আমরা তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। কিন্তু তারা স্কুলের শিশুদের হত্যা করেছে। এটি অগ্রহণযোগ্য।
সূত্র : রয়টার্স, ইরাবতী
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ