ঢাকা, রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিশ্বে ৫ কোটি মানুষ দাসত্বের মধ্যে বসবাস করছে

প্রকাশনার সময়: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২০:৩৫

সারা বিশ্বে প্রায় ৫০ মিলিয়ন বা ৫ কোটি মানুষ আধুনিক দিনের দাসত্বের মধ্যে বসবাস করছে। যার মধ্যে ২৮ মিলিয়ন মানুষ বাধ্যতামূলক শ্রমের শিকার।

সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) আইওএম, ওয়াক ফ্রি এবং ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশনের (আইএলও) পক্ষ থেকে প্রকাশিত ‘গ্লোবাল এস্টিমেটস অব মডার্ন স্লেভারি রিপোর্ট ২০২২’ শিরোনামের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এই প্রতিবেদনে বিশ্বজুড়ে মানুষকে কীভাবে নির্দিষ্ট কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে তার একটি বিশদ চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

প্রতিবেদনটি একটি চমকপ্রদ সত্য উদ্ঘাটন করেছে। এতে বলা হয়েছে, সমস্ত বাধ্যতামূলক শ্রমের ৫২ শতাংশই উচ্চ-মধ্যম বা উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে সংঘটিত হয়।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, বাধ্যতামূলক শ্রমের ৮৬ শতাংশ বেসরকারি খাতে এবং রাষ্ট্র কর্তৃক আরোপিত বাধ্যতামূলক শ্রম ১৪ শতাংশ। বাধ্যতামূলক শ্রমের ক্ষেত্রে প্রতি আটজনের মধ্যে কমপক্ষে একজন শিশু (৩.৩ মিলিয়ন) এবং অর্ধেকেরও বেশি বাণিজ্যিক যৌন শোষণের শিকার।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, অভিবাসী শ্রমিকরা অ-অভিবাসী প্রাপ্তবয়স্ক শ্রমিকদের তুলনায় তিনগুণ বেশি বাধ্যতামূলক শ্রমের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অভিবাসীরা অনিয়মিত বা দুর্বলভাবে পরিচালিত অভিবাসন এবং অন্যায্য ও অনৈতিক নিয়োগ পদ্ধতির কারণে বেশি পরিমাণে জোরপূর্বক শ্রম এবং পাচারের ঝুঁকিতে থাকে।

প্রতিবেদনে উপসাগরীয় দেশ কাতারের কথা বলা হয়েছে, সম্প্রতি ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২-কে কেন্দ্র করে দেশটিতে কর্মরত অভিবাসীদের সঙ্গে সম্পর্কিত শ্রম অধিকার লঙ্ঘনের কথা জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বেশ কয়েকটি সুপারিশ প্রস্তাব করা হয়েছে, যেগুলো বাস্তবায়িত হলে আধুনিক দাসপ্রথার অবসানের বিষয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হবে।

এগুলোর মধ্যে রয়েছে আইন ও শ্রম পরিদর্শনের উন্নতি ও প্রয়োগ, রাষ্ট্রীয় চাপিয়ে দেয়া বাধ্যতামূলক শ্রমের অবসান, ব্যবসায় ও সরবরাহ শৃঙ্খলে জোরপূর্বক শ্রম ও পাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শক্তিশালী ব্যবস্থা, সামাজিক সুরক্ষা প্রসারিত করা এবং আইনি সুরক্ষা জোরদার করা।

প্রতিবেদনে প্রস্তাবিত অন্যান্য কিছু পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে- অভিবাসী কর্মীদের পাচার ও বাধ্যতামূলক শ্রমের বর্ধিত ঝুঁকি মোকাবিলা, ন্যায্য ও নৈতিক নিয়োগের প্রচার এবং নারী, মেয়ে ও নাজুক ব্যক্তিদের জন্য আরও বেশি সমর্থন বাড়ানো।

নয়া শতাব্দী/জেআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ