ব্রিটেনের রানি এলিজাবেথ আর নেই। তার বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর। বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) বাকিংহাম প্যালেস রানির মৃত্যুর ঘোষণা দেয়।
বৃহস্পতিবার সকালে রানির শরীরের অবস্থা নিয়ে তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করেন চিকিৎসকরা। স্কটল্যান্ডের বালমোরাল প্রাসাদে ছিলেন তিনি। খবর পেয়েই ছুটে যান রাজ পরিবারের সদস্যরা। নেট মাধ্যমে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসসহ মন্ত্রী এবং সারা বিশ্বের রাজনীতিক, ধর্মীয় নেতারা।
গত বছর অক্টোবর থেকেই শরীর ভালো যাচ্ছিল না রানির। ভালোভাবে হাঁটাচলাও করতে পারছিলেন না। অসুস্থতার খবর পেতেই বালমোরাল প্রাসাদে ছোটেন চার ছেলে-মেয়ে-যুবরাজ চার্লস (৭৩), রাজকুমারী অ্যান (৭২), যুবরাজ অ্যান্ড্রিউ (৬২), যুবরাজ এডওয়ার্ড (৫৮)। চার্লসের বড় ছেলে যুবরাজ উইলিয়ামও পৌঁছে যান। সুদূর আমেরিকা থেকে ছুটে এসেছেন উইলিয়ামের ভাই হ্যারি এবং তার স্ত্রী মেগান। রাজ পরিবারের সংসর্গ ছেড়ে এখন আমেরিকায় থিতু হয়েছেন হ্যারি এবং মেগান।
মঙ্গলবারই ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে লিজ ট্রাসকে নিয়োগ করেছিলেন রানি এলিজাবেথ। সিংহাসনে বসার পর থেকে ব্রিটেনের ১৫ জন প্রধানমন্ত্রীকে নিয়োগ করেছিলেন তিনি। প্রথা ভেঙে বাকিংহামের পরিবর্তে বালমোরাল প্রাসাদে বসেই লিজকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন রানি। সেই ছবিতে স্পষ্ট ধরা পড়েছিল তার অসুস্থতা।
বৃহস্পতিবার চিকিৎসকরা রানির শারীরিক অসুস্থতার কথা ঘোষণা করতেই নেট মাধ্যমে লেখেন, গোটা দেশ এখন বাকিংহাম প্রাসাদের খবর নিয়ে উদ্বিগ্ন। আমার এবং গোটা ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যের চিন্তায় এখন রানি এবং তার পরিবার। ক্যান্টারবেরির আর্চবিশপ জাস্টিন ওয়েলবি জানিয়েছিলেন, রানির সুস্থতা প্রার্থনা করছেন তিনি। প্রসঙ্গত, চার্চ অব ইংল্যান্ডেরও প্রধান ছিলেন রানি। সূত্র : বিবিসি, এপি ও অন্যান্য
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ