ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ, ট্রাসের মন্ত্রিসভায় ঘনিষ্ঠরা 

প্রকাশনার সময়: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১১:৫৯

যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন দেশটির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস। এর মধ্য দিয়ে গত ৬ বছরে ৪ জন প্রধানমন্ত্রী পেয়েছে দেশটি। এমন এক সময়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের স্থলাভিষিক্ত হলেন যখন যুক্তরাজ্য একের পর এক সংকটে জর্জরিত।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মন্ত্রিসভায় বড় রদবদল এনেছেন লিজ ট্রাস। নতুন মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেয়েছেন তার কাছের মানুষজনের অনেকে। দেশটির অনেক প্রভাবশালী নেতা বাদ পড়েছেন এ তালিকা থেকে।

এর আগে মঙ্গলবার (০৬ সেপ্টেম্বর) স্কটল্যান্ডের বালমোরাল ক্যাসেলে যুক্তরাজ্যের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সাথে দেখা করেন ট্রাস। এ সময় দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ট্রাসকে নতুন সরকার গঠনের অনুমোদন দেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে রানির ৭০ বছরের রাজত্বকালে ১৬তম প্রধানমন্ত্রী হন ট্রাস।

প্রধানমন্ত্রীর দফতরের ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের বাইরে দাঁড়িয়ে লিজ ট্রাস বলেন, চলমান ইউক্রেনে-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে ব্রিটেন মারাত্মক এক বৈশ্বিক বাধার মুখোমুখি হয়েছে। কিন্তু আমি নিশ্চিত, একসাথে কাজ করে আমরা এ ঝড় থেকে বেরিয়ে আসতে পারবো। আমরা আমাদের অর্থনীতি পুনঃনির্মাণ করতে পারবো এবং আধুনিক দক্ষ ব্রিটেন হয়ে উঠতে পারবো।

সেই সাথে কর কমানো, জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি রোধে পদক্ষেপ এবং স্বাস্থ্যসেবায় সবার সুযোগ তৈরি করাসহ অর্থনৈতিক সমস্যা মোকাবিলায় সাহসী পরিকল্পনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ব্রিটেনের নতুন এই প্রধানমন্ত্রী।

এদিকে ট্রাসের নতুন মন্ত্রিসভায় অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে কোয়াসি কোয়ার্টেংকে। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন জেমস ক্লিভারলি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সুয়েলা ব্রাভারম্যানকে। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন মিশেল ডোনেলান। যুক্তরাজ্যের নতুন উপ-প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী হয়েছেন ট্রাসের কাছের বন্ধু থেরেসে কফে।

তবে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের মন্ত্রিসভার অনেকে। তাদের একজন সাবেক বিচারবিষয়ক মন্ত্রী ডোমিনিক রাব। নতুন মন্ত্রীদের তালিকায় নেই সাবেক পরিবহনমন্ত্রী গ্রান্ট শ্যাপস ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্টিভ বার্কলে।

সাবেক আন্তর্জাতিক বাণিজ্যবিষয়ক মন্ত্রী পেনি মরডান্টকে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সের নেতার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। নতুন আন্তর্জাতিক বাণিজ্যবিষয়ক মন্ত্রী হয়েছেন কেমি ব্যাডেনচ। কর্ম ও পেনশন–বিষয়ক মন্ত্রী হয়েছেন ক্লো স্মিথ। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন কিট মাল্টহাউস।

ট্রাসকে দীর্ঘ সময় ধরে সমর্থন দিয়ে আসা জ্যাকব রিস–মগ ব্যবসা, জ্বালানি ও শিল্পকৌশল–বিষয়ক মন্ত্রী হয়েছেন। লেভেলিং আপ মন্ত্রণালয়ের হাল ধরছেন সিমন ক্লার্ক। আর অ্যানি-ম্যারি ট্রেভেলিয়ানকে পরিবহনমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

এছাড়াও নতুন মন্ত্রিসভায় পরিবেশবিষয়ক মন্ত্রী হয়েছেন রনিল জয়াবর্দেনা। ব্রান্ডন লুইসকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বিচারবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের। অন্যদিকে অর্থমন্ত্রীর পদ ছেড়ে আন্তসরকার সম্পর্ক ও সমতাবিষয়ক মন্ত্রী হয়েছেন নাদিম জাহাবি। তবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় নিজের দখলে রেখেছেন বেন ওয়ালেস।

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ