ঢাকা, রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন লিজ ট্রাস

প্রকাশনার সময়: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৮:১০

যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টির নেতা নির্বাচিত হয়েছেন দেশটির বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস। এ জয়ের মধ্য দিয়ে তিনিই হতে যাচ্ছেন দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী।

তৃতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন ৪৭ বছর বয়সি ট্রাস।

কনজারভেটিভ পার্টির নতুন প্রধান লিজ ট্রাস রানি এলিজাবেথের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে স্কটল্যান্ড যাবেন। সেখানে ক্ষমতাসীন দলটির নতুন প্রধানকে সরকার গঠন করার আহ্বান জানাবেন রানি।

বেশ কিছু কেলেংকারির কারণে গত জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য হন বরিস জনসন। এরপরই কনজারভেটিভ দলের নতুন প্রধান নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। শুক্রবার পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয়েছে। ভোটার ছিলেন কনজারভেটিভ দলের প্রায় দুই লাখ সদস্য।

ভোটে ট্রাস সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাককে পরাজিত করেন। সুনাক জিততে পারলে ব্রিটেনের প্রথম অশ্বেতাঙ্গ প্রধানমন্ত্রী হতেন।

মোট ভোট পড়েছে ৮২.৬ শতাংশ৷ ট্রাস পেয়েছেন ৮১,৩২৬ ভোট (৫৭.৪ শতাংশ)। সুনাক পেয়েছেন ৬০,৩৯৯টি (৪২.৬ শতাংশ)।

২০১৯ সালে ৬৬.৪ শতাংশ ভোট পেয়ে কনজারভেটিভ দলের নেতা নির্বাচিত হয়েছিলেন বরিস জনসন। ২০০৫ সালে ডেভিড ক্যামেরন পেয়েছিলেন ৬৭.৬ শতাংশ ভোট। আর ২০০১ সালে ডানকান স্মিথ পেয়েছিলেন ৬০.৭ শতাংশ ভোট।

লিজ ট্রাস ও ৪২ বছর বয়সি সুনাক উভয়ই অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী।

মূল্যস্ফীতির হাত থেকে সাধারণ নাগরিকদের রক্ষা এবং কনজারভেটিভ দলের মধ্যে ঐক্য ফিরিয়ে আনা ট্রাসের অন্যতম দুটি মূল কাজ হতে চলেছে। গত জুলাই মাসে ব্রিটেনে মূল্যস্ফীতির হার ১০ শতাংশে উপরে উঠে গিয়েছিল।

বামপন্থি পরিবারে জন্ম নেয়া ট্রাস প্রথমে লিবারেল ডেমোক্র্যাট ছিলেন। তবে ২০১০ সালে তিনি কনজারভেটিভ পার্টি থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন। ট্রাস ব্রেক্সিটের বিপক্ষে ছিলেন। তবে ব্রিটিশরা ব্রেক্সিটের পক্ষে ভোট দিলে তিনি দ্রুতই ব্রেক্সিটের কট্টর সমর্থক হয়ে উঠেছিলেন। এরপর ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন লিজ ট্রাসকে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে গড়া প্রতিনিধি দলের প্রধান করেছিলেন। গতবছর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পান ট্রাস।

লিজ ট্রাস যেসব পোশাক পরেন এবং ছবি তোলার জন্য যেসব জায়গা বেছে নেন, যেমন এস্তোনিয়ায় গিয়ে ট্যাঙ্কে এবং মস্কোয় গিয়ে পশমের টুপি পরে ছবি তোলা, ইত্যাদি কারণে অনেকে তাকে প্রথম নারী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারের সঙ্গে তুলনা করেন।

ইউক্রেন ইস্যুতে তিনি রাশিয়ার কড়া সমালোচক হিসেবে পরিচিত।

নয়াশতাব্দী/জেডআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ