মূল্যস্ফীতি, জ্বালানি ও বিদ্যুতের দামবৃদ্ধি মোকাবিলায় সরকার নিষ্ক্রিয় বলে অভিযোগ তুলেছে বিরোধী দলগুলো। এতে অংশ নিয়েছে প্রায় ৭০ হাজার বিক্ষোভকারী। শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) পার্লামেন্টের অনাস্থা ভোটে উতরে যায় ক্ষমতাসীন জোট সরকার। এর একদিন পরই রাজধানীতে এ বিক্ষোভ শুরু হয়।
পার্লামেন্টে ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব প্রমাণ করেছে, ইউরোপে জ্বালানি সংকট রাজনৈতিক অস্থিরতা উসকে দিচ্ছে। অনেক দেশে বিদ্যুতের চড়া দামের কারণে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। একাধিক ডানপন্থি গোষ্ঠী ও কমিউনিস্ট পার্টির মতো তুলনামূলক ছোট রাজনৈতিক দলগুলো এ বিক্ষোভের আহ্বান জানিয়েছে। আয়োজকরা বলছেন, চেক প্রজাতন্ত্রের সামরিকভাবে নিরপেক্ষ থাকা ও রাশিয়াসহ গ্যাস সরবরাহকারী দেশগুলোর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখা উচিত। বিক্ষোভের অন্যতম আয়োজক জিরি হাভেল বলেন, পরিবর্তনের দাবি নিয়ে আমরা এ বিক্ষোভ করছি।
মূলত গ্যাস-বিদ্যুতের দামের ইস্যুটাই মুখ্য। এভাবে চলতে থাকলে এ শরতে আমাদের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যাবে। মধ্য-ডানপন্থি পাঁচ দলের জোটের নেতৃত্ব দেয়া প্রধানমন্ত্রী পিতর ফায়ালা বলেছেন, বিক্ষোভকারীরা দেশের স্বার্থ দেখছেন না। তিনি আরও বলেন, যারা প্রাগের ওয়েনসেসলেস চত্বরে বিক্ষোভ ডেকেছেন, তারা রাশিয়াপন্থি; উগ্রবাদীদের কাছাকাছি তাদের অবস্থান। তারা চেক প্রজাতন্ত্রের স্বার্থবিরোধী। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, দেশের স্বার্থ বাদ দিয়ে ইউক্রেনের প্রতি বেশি মনোযোগ দিচ্ছে সরকার।
নয়া শতাব্দী/এফআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ