ভয়াবহ বন্যার মুখে পাকিস্তানে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার। বন্যা ও বৃষ্টি সম্পর্কিত নানা ঘটনায় দেশটিতে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৩৭ জনে। এছাড়া লাখ লাখ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। খবর ডনের।
দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে চলমান অবিরাম বৃষ্টিপাতকে ‘জলবায়ু-জনিত বিরাট মানবিক বিপর্যয়’ বলে অভিহিত করে পাকিস্তান সরকার বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) আনুষ্ঠানিকভাবে ‘জাতীয় জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করে।
জানা গেছে, বন্যায় পাকিস্তানে এখন পর্যন্ত ৯৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৩৪৩ জন শিশু। এছাড়া বন্যায় বাড়ি-ঘর হারিয়ে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন অন্তত ৩ কোটি মানুষ।
পাকিস্তানের ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটির (এনডিএমএ) সংকলিত সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, পাকিস্তানে আগস্ট মাসে ১৬৬.৮ মিমি বৃষ্টি হয়েছে। যেখানে বছরের এই সময়টিতে সেখানে গড়ে ৪৮ মিমি বৃষ্টি হয়ে থাকে। অর্থাৎ চলতি আগস্ট মাসে দেশটিতে বৃষ্টিপাত ২৪১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এই বন্যায় সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রাণহানি হয়েছে দেশটির সিন্ধ প্রদেশে। গত ১৪ জুন থেকে প্রদেশটিতে ৩০৬ জন মারা গেছেন। বেলুচিস্তানে মারা গেছেন ২৩৪ জন।
এছাড়া খাইবার পাখতুনখোয়া এবং পাঞ্জাব প্রদেশে যথাক্রমে ১৮৫ ও ১৬৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন। পাকিস্তানশাসিত আজাদ জম্মু ও কাশ্মিরে ৩৭ জন, গিলগিট-বালটিস্তান অঞ্চলে ৯ জন ও ইসলামাবাদে একজন নিহত হয়েছেন।
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ