ঢাকা, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইউক্রেন সংঘাতের অবসান চায় না পশ্চিমারা

প্রকাশনার সময়: ২৪ আগস্ট ২০২২, ০৫:৪৭

ইউক্রেন সংঘাতের অবসান চায় না পশ্চিমা বিশ্ব। তারা এই সংঘাত প্রলম্বিত করতে চায়। খাদ্যশস্য রফতানি চুক্তিও ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা করছে তারা। পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে ভয়ানক এসব অভিযোগ করেছে তুরস্ক। আরটির এক প্রতিবেদনে এ খবর দেওয়া হয়েছে।

চলমান সংঘাত নিরসনে শুরু থেকেই কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে তুরস্ক। দেশটির নেতাদের প্রচেষ্টায় ইতোমধ্যে উভয় পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সংঘাতের অবসান না হলেও জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় খাদ্যশস্য রফতানি বিষয়ে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে সম্প্রতি গুরুত্বপূর্ণ একটি চুক্তি হয়েছে।

এখন ইউক্রেন সংঘাত অবসানের লক্ষ্যে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আঙ্কারা। সেই লক্ষ্যেই দিনরাত দৌড়াচ্ছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান ও তার কর্মকর্তারা। রাশিয়া ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে, তারা ইউক্রেন অভিযানে ইতি টানার সম্ভাব্যতা যাচাই শুরু করেছে। পশ্চিমারা এ সংঘাতের অবসান দেখতে চায় না বলে অভিযোগ করেছে আঙ্কারা। ইউক্রেন সংঘাত নিয়ে মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) রাজধানী আঙ্কারায় স্থানীয় গণমাধ্যমকে এক গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষাৎকার দেন তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসগলু। বলেন, ‘ইউক্রেন সংঘাত অবসানের কোনো আগ্রহই নেই বেশ কিছু পশ্চিমা দেশের।

হেবার গ্লোবালকে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, কয়েকটি পশ্চিমা দেশ যুদ্ধ প্রলম্বিত করতে চাইছে। শুধু যুক্তরাষ্ট্রই নয়, এর মধ্যে ন্যাটোর কয়েকটি সদস্য দেশও রয়েছে।’ সাক্ষাৎকারে পশ্চিমা দেশগুলোর বিরুদ্ধে ইউক্রেন-রাশিয়ার খাদ্যশস্য রফতানি চুক্তি ভেস্তে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন কাভুসগলু। বলেন, ‘এমন দেশও রয়েছে যারা খাদ্যশস্য চুক্তি ভেস্তে দিতে চাইছে। যুদ্ধের কারণে আটকে থাকা ইউক্রেনীয় খাদ্যশস্য রপ্তানির জন্য তিনটি ইউক্রেনীয় বন্দর পুনরায় চালু করতে তুরস্ক ও জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় গত ২২ জুলাই একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে রাশিয়া ও ইউক্রেন।

ইউক্রেন সংঘাত নিরসনে গত সপ্তাহে ইউক্রেন সফর করেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান। গত বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর লভিভে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে গোলটেবিল বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে কূটনৈতিক উপায়ে সংঘাতের অবসান ও বিশ্ববাজারে ইউক্রেনের শস্য রফতানির ধারা অব্যাহত রাখার ব্যাপারে আলোচনা করেন এ তিন নেতা।

একদিনের ইউক্রেন সফর শেষে তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, আঙ্কারা কূটনীতির মাধ্যমে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটানোর ক্ষেত্রে অবদান রাখতে চায়। সেই লক্ষ্যে উভয় দেশের নেতাকে তুরস্কে বৈঠকের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করে রাশিয়া। এরপর প্রায় ৬ মাস ধরে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে সংঘাত দীর্ঘতর হওয়ার পিছনে যুক্তরাষ্ট্র তথা পশ্চিমাদের প্রত্যক্ষ সামরিক সহযোগিতাকে দায়ী করছেন বিশ্লেষকদের অনেকেই।

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ