ঢাকা, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইমরানের ভাষণ সরাসরি সম্প্রচার নিষিদ্ধ, ইউটিউব চ্যানেলও বন্ধ

প্রকাশনার সময়: ২২ আগস্ট ২০২২, ১০:২৮

গণমাধ্যমে ভাষণ সরাসরি সম্প্রচার নিষিদ্ধের পর পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বক্তব্য প্রচার না করার জন্য তার ইউটিউব চ্যানেলও সাময়িক বন্ধ রাখার অভিযোগ করেছেন তিনি।

ইমরান জানান, রোববার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যায় তার ইউটিউব চ্যানেল সাময়িক বন্ধ রাখা হয়।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার (২০ আগস্ট) রাজধানী ইসলামাবাদে দেওয়া এক বক্তব্যে ইমরান খান দেশের পুলিশ ও অন্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সমালোচনা করেন। এর পর তার বক্তব্য সরাসরি সম্প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে পাকিস্তান ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া রেগুলেটরি অর্থরিটি (পিইএমআরএ)।

টুইটারে ইমরান খান অভিযোগ করে বলেন, আমদানি করা সরকার তার বক্তব্য ইউটিউবের মাধ্যমে প্রচার করা বন্ধ করেছে।

এদিকে সোমবার (২২ আগস্ট) পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইমরান খানকে গ্রেফতার করতে পারে দেশটির পুলিশ। দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটির সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর সম্ভাব্য গ্রেফতার নিয়ে দেশটির রাজনীতিতে ফের উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ইমরান খানের সম্ভাব্য গ্রেফতারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের রাস্তায় নামতে বলেছেন পিটিআই নেতারা।

এর আগে বিচারক ও পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রকাশ্যে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে ইমরান খানের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। ইসলামাবাদের মারগাল্লা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের সাত নম্বর ধারায় ওই এফআইআর দায়ের করে পুলিশ।

সংবাদমাধ্যম বলছে, ফেডারেল রাজধানী ইসলামাবাদের অতিরিক্ত দায়রা জজ জেবা চৌধুরীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে ইসলামাবাদ সদর ম্যাজিস্ট্রেট আলী জাভেদের অভিযোগে পিটিআই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের মামলা দায়ের করা হয়।

ইমরানের বিরুদ্ধে ঘৃণাত্মক বক্তৃতা এবং সেনাবাহিনী, পুলিশ এবং বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ উসকে দেওয়ার জন্য একজন বাসিন্দার কাছ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর এফআইআরটি দায়ের করা হয়।

ইমরান খানের দল শনিবার ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় সম্প্রচার নিষেধাজ্ঞার পরপরই বলেছিল যে তারা পাঁচশ’র বেশি ইউটিউব এবং ফেসবুক চ্যানেলের মাধ্যমে ইমরান খানের রোববারের ভাষণ সরাসরি প্রচার করবে।

তবে ইমরান খানের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রয়টার্স জানতে চাইলে পাকিস্তানের টেলিকমিউনিকেশন অথরিটির মুখপাত্র তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেননি।

গত এপ্রিলে সংসদীয় ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ইমরান খান পাকিস্তানে নতুন নির্বাচনের ওপর জোর দিচ্ছেন। সারাদেশের জনসমাবেশে জ্বালাময়ী বক্তৃতা দিয়ে যাচ্ছেন। এসবই তার জন্য বিপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

নয়াশতাব্দী/জেডআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ