সংগীত ও টিভি তারকা বন্ধুদের সঙ্গে পার্টিতে নেচে-গেয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন। তিনি বলেছেন, এমন কিছু করেননি, যা অবৈধ। আর ব্যক্তিগত ভিডিওগুলো প্রকাশ্যে আনাও উচিত হয়নি।
সম্প্রতি ফাঁস হওয়া এক ভিডিওতে তাকে বন্ধুদের সঙ্গে নাচতে এবং গাইতে দেখা যায়, যা নিয়ে উঠেপড়ে লেগেছেন তার বিরোধীরা। বিরোধীদলীয় এক নেতা সানা মারিনের ড্রাগ টেস্ট করারও দাবি তুলেছেন। পার্টিতে নাচ-গানের কথা স্বীকার করলেও মাদক নেওয়ার কথা সম্পূর্ণ নাকচ করেছেন তিনি।
৩৬ বছর বয়সী সানা মারিনের দাবি, তিনি কেবল অ্যালকোহল পান করেছিলেন, পার্টিতে হৈ-চৈ আর উল্লাসেও ছিলেন, আর সে সবই তার ব্যক্তিগত বিষয়। ২০১৯ সালে দায়িত্বগ্রহণের সময় বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী সরকারপ্রধান ছিলেন সানা মারিন। তবে সেই তকমা এখন চিলির প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বোরিকের দখলে।
ফিনিশ প্রধানমন্ত্রী তার পার্টির খবর সাধারণত গোপন করেন না এবং বিভিন্ন সংগীত উৎসবে প্রায়ই তাকে ক্যামেরায় ফ্রেমবন্দি হতে দেখা যায়। গত বছর কোভিড আক্রান্ত একজনের সংস্পর্শে আসার পর ক্লাবে গিয়ে পার্টি করার অভিযোগ উঠলে তিনি ক্ষমা চেয়েছিলেন। গত সপ্তাহেই তাকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় প্রধানমন্ত্রী’ অ্যাখ্যা দেয় জার্মান ট্যাবলয়েড বিল্ড।
সম্প্রতি প্রকাশিত ভিডিও নিয়ে সানা মারিন বৃহস্পতিবার বলেন, তিনি জানতেন ভিডিও করা হচ্ছে, কিন্তু তা জনসম্মুখে প্রকাশ করায় তিনি হতাশ। পার্টিতে আমি নেচেছি, গেয়েছি, যা পুরোপুরি বৈধ। আর এমন কোনো পার্টিতে আমি ছিলাম না, যেখানে আমি কাউকে দেখেছি বা চিনি যে মাদক নিয়েছে।
তাকে স্বেচ্ছায় ড্রাগ টেস্ট করার আহ্বান জানিয়ে বিরোধীদলীয় নেতা রিকা পুরা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে সন্দেহের মেঘ জমছে। সানা মারিনের জোট সরকারের শরিক সেন্টার পার্টির এমপি মিকো কর্নও এক টুইটে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী স্বেচ্ছায় ড্রাগ টেস্ট করলে সেটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
তবে নিজের বক্তব্যের পক্ষে অটল মারিন। সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, তিনি মাদক নেননি। অবশ্য ড্রাগ টেস্ট করাতেও তার আপত্তি নেই। আমার বয়সী অন্য অনেকের মত আমারও পারিবারিক ও কর্মজীবন আছে, বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ আছে। নিজের আচরণ পরিবর্তনের কোনো প্রয়োজন আছে বলেও মনে করছেন না এই তরুণ রাজনীতিবিদ।
নয়া শতাব্দী/এফআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ