ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

চীনকে রুখতে যৌথ সামরিক মহড়া মার্কিন-ভারত জোটের

প্রকাশনার সময়: ০৫ আগস্ট ২০২১, ২৩:৪৩

চীনকে রুখতে এবার দক্ষিণ চীন সাগরে যৌথ মহড়ায় অংশ নিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলো। বিশাল আকারের একাধিক যুদ্ধজাহাজ নিয়ে মহড়া দেবে দেশগুলো। যা হবে বেইজিংয়ের বড় মাথা ব্যথার কারণ, বলছেন বিশ্লেষকরা। চীন বরাবরই বলে আসছে, নিজেদের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তারা বিন্দুমাত্র ছাড় দেবে না। ওই অঞ্চলে শক্তি বাড়িয়েছে তারাও।

চীনকে চারদিক দিয়ে চেপে ধরতে চাচ্ছে ভারত। তারই অংশ হিসেবে এখন বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরে যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে নয়াদিল্লি।

একটি গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার ও একটি মিসাইল ফ্রিগেটসহ চারটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করা হচ্ছে। এসব যুদ্ধজাহাজ দুই মাসের জন্য দক্ষিণ চীন সাগর ও পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে মোতায়েন থাকবে বলে জানা গেছে। অংশ নেবে চীন বিরোধী মহড়ায়। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে চীন বিরোধী মহড়ায় অংশ নেবে কোয়াডভুক্ত দেশগুলো। দ্বিতীয় বারের মতো বিশাল নৌযুদ্ধ খেলায় মেতে উঠবে কোয়াড বা কোয়াডরিল্যাটারাল জোট। তবে মালাবার মহড়ার উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দিহান চীন। দেশটির ধারণা, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বেইজিংয়ের প্রভাব নিয়ন্ত্রণ করতেই মহড়ার আয়োজন করা হচ্ছে।এই দেশগুলোর লক্ষ্য একটাই- নিজেদের শক্তির প্রমাণ চীনকে দেয়া। ভারত ছাড়াও, জাপান ও অস্ট্রেলিয়াও বড় পরিসরে অংশ নিচ্ছে মহড়ায়।

ভারতের নৌ বাহিনীর পক্ষ থেকে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, শান্তি বজায় রাখতেই তারা সেখানে উপস্থিত হচ্ছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভারতীয় নৌ বাহিনীর কর্মকর্তা বলেন, "আমরা শান্তিপূর্ণ অংশগ্রহণের জন্যই সেখানে যাচ্ছি। বন্ধু রাষ্ট্রগুলো আমাদের পাশে আছে।"

এ অবস্থায় সমুদ্রে মহা বিনাশকারী হিসেবে খ্যাত অ্যান্টি শিপ হারপুন ভারতকে দিতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র। ভারত আর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এ নিয়ে ৮২ মিলিয়ন ডলারের চুক্তিও হয়েছে বলে ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর জানা গেছে। এই প্রযুক্তি এখন যুক্তরাষ্ট্র আর ইসরাইল ব্যবহার করে। এর মাধ্যমে বিশাল জাহাজকে সমুদ্রে ধ্বংস করে দেয়া সম্ভব।

সাম্প্রতিক নৌ তৎপরতার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে দক্ষিণ চীন সাগর। গত সপ্তাহে একটি ব্রিটিশ বিমানবাহী রণতরী তেরো লাখ বর্গ মাইল জলপথ পাড়ি দিয়েছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজ ও চীনের লিবারেশন আর্মির নৌবাহিনীও মহড়া দিয়েছে। এ অবস্থায় দক্ষিণ চীন সাগরে আধিপত্য ধরে রাখতে সেখানে আরও সমর শক্তি বাড়িয়েছে বেইজিং।

প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূর্ণ দক্ষিণ চিন সাগরের বিস্তীর্ণ এলাকায় বহু দিন ধরেই আগ্রাসী হয়ে উঠেছে চিন।পুরো দক্ষিণ চীন সাগরকে নিজের সার্বভৌম অঞ্চল বলে দাবি করে আসছে তারা। সেখানে বেশ কয়েকটি কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করেছে চীনারা। ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের মাধ্যমে যা ব্যাপকভাবে সুরক্ষিত।

নয়া শতাব্দী/এসইউ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ