ভারতের পশ্চিমবঙ্গে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট বন্যায় অন্তত ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া প্লাবিত হয়েছে রাজ্যটির একাধিক জেলা। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কয়েক লাখ হেক্টর কৃষিজমির।
দেশটির সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, বন্যার কবল থেকে রেহাই পেতে ত্রাণশিবিরে কয়েক হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বন্যায় প্রাণ হারানোদের মধ্যে দেয়ালচাপা পড়ে ছয়জন, পানিতে ডুবে সাতজন, বজ্রপাতে ছয়জন ও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দু’জন মারা গেছে। এছাড়া ভূমিধসে আরো ২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
পশ্চিমবঙ্গ সরকার বলছে, এক লাখ ১৩ হাজার ১৮১ জনকে দুর্গত এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ৩৬১ স্থানে ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে। ত্রাণশিবিরগুলোতে ৪৩ হাজারেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
শিলাবতী, কংসাবতী ও দামোদরের পানি বেড়ে গেছে। ফলে হাওড়া-মেদিনীপুর ও হুগলির বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
এই বন্যাকে ‘মানবসৃষ্ট’ উল্লেখ করে এ জন্য দামোদর ভ্যালি করপোরেশনকে (ডিভিসি) দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতার অভিযোগ, ডিভিসি রাজ্য সরকারকে না জানিয়েই পানি ছেড়ে দিয়েছে। এর সঙ্গে প্রবল বর্ষণ যোগ হয়ে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
বন্যায় মৃতদের পরিবারকে দুই লাখ টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নয়া শতাব্দী/এসএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ