ঢাকা, রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

নরকের আগুন

প্রকাশনার সময়: ১১ আগস্ট ২০২২, ১৫:২৫

আল কায়েদার শীর্ষ নেতা আইমান আল জাওয়াহিরি নিহত হবার পর ফের আলোচনায় আমেরিকার বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র হেলফায়ার। নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েই যুক্তরাষ্ট্র হামলা চালিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর এই হামলার সফলতার ফলে ভবিষ্যতেও এমন হামলার সম্ভাবনা আরো বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের সন্ত্রাসী হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাস-বিরোধী অভিযানে নিয়মিত যে ক্ষেপণাস্ত্রটি ব্যবহার শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র তার নাম ‘হেলফায়ার’ বা ‘নরকের আগুন’। এই হেলফায়ার আকাশ থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য। হেলিকপ্টার, স্থলযান, জাহাজ, বিমান, মানুষবিহীন ড্রোনসহ নানা প্ল্যাটফর্ম থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা যায়। হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্রের লাইনে একটি সর্বশেষ সংযোজন হল হেলফায়ার আর.নাইন.এক্স। এটি ওবামা প্রশাসনের আমলে তৈরি করা হয়। এই অস্ত্রে পপ-আউট সোর্ড ব্লেড ব্যবহার করা হয়েছে যা আশেপাশের এলাকার নূন্যতম ক্ষতি করে লক্ষ্যবস্তুকে হত্যার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।

আক্রমণের সময় সাধারণ মানুষের হতাহতের হার কমানোর লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছিল এই মিসাইল। তার কক্ষপথে থাকা সব কিছু টুকরো করে দেয় এই মিসাইল। এটিকে নিনজা বোমাও বলা হয়। এর ওজন প্রায় ৪৫ কেজি। মিসাইলটি ড্রোন, হেলিকপ্টার, বিমান এবং মার্কিন বাহিনীর ব্যবহৃত হুমভিস থেকেও উৎক্ষেপণ করা সম্ভব। এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরিসীমা ৫০০ মিটার থেকে ১১ কিলোমিটার পর্যন্ত। এই সীমা নির্ভর করে কোন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে তার ওপর।

২০১৫ সালে সিরিয়ায় ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত ইসলামিক স্টেটের জঙ্গি ‘জিহাদি জন’ ও ২০২০ সালের শুরুর দিকে ইরানি জেনারেল সোলেমানিকে হত্যায় এই ‘হেলফায়ার’ ব্যবহার করা হয়। বারবার এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে— সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে নিখুঁতভাবে হামলার সক্ষমতা।

নয়া শতাব্দী/জেআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ