ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তাইওয়ান নিয়ে নীতিতে পরিবর্তন চীনের

প্রকাশনার সময়: ১১ আগস্ট ২০২২, ০৩:০৭ | আপডেট: ১১ আগস্ট ২০২২, ০৩:৩১

তাইওয়ানের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর সেখানে কোনো সেনা কিংবা প্রশাসক না-পাঠানোর অঙ্গীকার থেকে সরে আসার ঘোষণা দিয়েছে তাইওয়ান। এর মধ্য দিয়ে আগে দ্বীপাঞ্চলটিকে যে পরিমাণ স্বায়ত্তশাসন দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল, তাও কমিয়ে আনা হয়েছে। তাইওয়ান ঘিরে নজিরবিহীন সামরিক মহড়ার পর অঞ্চলটি নিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করতে শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছে চীন।

বুধবার (১০ আগস্ট) একটি আনুষ্ঠানিক নথির বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এমন খবর দিয়েছে। ১৯৯৩ ও ২০০০ সালে প্রকাশিত দুটি শ্বেতপত্রে চীন বলেছিল, তাইওয়ানকে একীভূত করার পর সেখানে কোনো প্রশাসনিক কর্মকর্তা কিংবা সেনা পাঠানো হবে না।

এর অর্থ হচ্ছে, তাইওয়ানকে নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছিল যে চীনের বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হওয়ার পর এটি স্বায়ত্তশাসনের মর্যাদা ভোগ করবে। কিন্তু সবশেষ প্রকাশিত শ্বেতপত্রে সেই শর্তটি রাখা হয়নি। অর্থাৎ, তাইওয়ানের স্বায়ত্তশাসনের মর্যাদা কমিয়ে দেয়ার কথা বলা হয়েছে।

চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির প্রস্তাব, ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থার’ অধীন তাইওয়ান একীভূত হতে পারে। এই একই সূত্র ধরে ১৯৯৭ সালে সাবেক ব্রিটিশ উপনিবেশ হংকংয়ে চীনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থার’ নীতি প্রত্যাখ্যান করেছে তাইওয়ানের সব মূলধারার রাজনৈতিক দল। তাইওয়ানের সরকার বলছে, কেবল এখানকার নাগরিকরাই তাদের ভাগ্য নির্ধারণ করবে।

২০০০ সালের শ্বেতপত্রে বলা হয়েছিল, তাইওয়ান যদি ‘এক চীন নীতি’ মেনে নেয় এবং স্বাধীনতার দাবি থেকে সরে আসে, তবে যেকোনো কিছু নিয়ে অঞ্চলটির সঙ্গে আলোচনা হতে পারে। কিন্তু সদ্য প্রকাশিত শ্বেতপত্রে এই বাক্যটি বাদ দেয়া হয়েছে। শ্বেতপত্রের নিন্দা জানিয়েছে তাইওয়ানের মূল ভূখণ্ড বিষয়ক কাউন্সিল। বলছে, এই শ্বেতপত্র মিথ্যায় পরিপূর্ণ। তারা মিথ্যা স্বপ্নে ডুবে আছে। তাইওয়ান যে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র, সেই সত্য অস্বীকার করতে চাচ্ছে চীন।

নয়া শতাব্দী/এফআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ