ঢাকা, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

মিয়ানমার সফরে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভ

প্রকাশনার সময়: ০৪ আগস্ট ২০২২, ০৪:৪৪

মিয়ানমার সফর করছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। বুধবার (৩ আগস্ট) দেশটির রাজধানী নেপিদোতে পৌঁছেছেন তিনি। পৌঁছেই তিনি মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উন্না মং ও অন্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। রুশ বার্তা সংস্থা তাসের বরাত দিয়ে আল-জাজিরা এ খবর দিয়েছে।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চির নির্বাচিত সরকার উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। এই সামরিক সরকারের বড় সমর্থক রাশিয়া। মস্কো জানিয়েছে, এই সফরে মিয়ানমারের সামরিক সরকারের সঙ্গে নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে। মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন জেনারেলদের কার্যত একঘরে করে রেখেছে পশ্চিমা দেশগুলো। তাদের ওপর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। পশ্চিমারা বলছে, বিরোধীদের ওপর সহিংস নিপীড়ন চালাচ্ছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার।

মিয়ানমারে প্রথমবারের মতো সফর শুরু করছেন সের্গেই ল্যাভরভ। চলতি সপ্তাহে কম্বোডিয়ায় আয়োজিত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দেবেন তিনি। তার আগে তিনি মিয়ানমার সফর করছেন। সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকে মিয়ানমারে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা চলছে। এর সামরিক বাহিনী নিয়মিত সশস্ত্র গণতন্ত্রপন্থী যোদ্ধা, তাদের সমর্থক এবং জাতিগত সংখ্যালঘু যোদ্ধাদের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে। এসব গ্রুপ দীর্ঘদিন ধরে বৃহত্তর রাজনৈতিক স্বায়ত্তশাসনের জন্য লড়াই করে আসছে।

মিয়ানমারের শীর্ষ অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ রাশিয়া। অন্য অনেক দেশই মিয়ানমারের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়ে আসছে। তা উপেক্ষা করে আসছে মস্কো। মিয়ানমারের জাতিগত সংখ্যালঘুদের নিয়ন্ত্রিত বহু এলাকায় হামলা চালাতে ব্যবহার হচ্ছে রাশিয়ার তৈরি করা যুদ্ধবিমান। মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন সামরিক বাহিনীর প্রধান মিত্র রাশিয়া এবং চীন যৌথভাবে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য হিসেবে তাদের ভেটো ক্ষমতার কারণে সমন্বিত আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞাগুলো ঠেকাতে সক্ষম হয়েছে।

নয়া শতাব্দী/এফআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ