ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইন্দোনেশিয়ায় করোনায় মৃত্যু লাখ ছাড়াল

প্রকাশনার সময়: ০৪ আগস্ট ২০২১, ২৩:৫৪

করোনাভাইরাসে মৃত্যুর দুঃখজনক এক মাইলফলকে পৌঁছেছে ইন্দোনেশিয়া। এশিয়ার দ্বিতীয় দেশ হিসেবে ইন্দোনেশিয়ায় এই মহামারিতে মৃত্যুর সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে। বুধবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এশিয়ায় ভারতের পর ইন্দোনেশিয়ায় করোনায় মৃত্যু এক লাখ ছাড়িয়ে গেছে।

কয়েক সপ্তাহ ধরে বিশ্বে দৈনিক মৃত্যুর তালিকায় শীর্ষে থাকার পর বুধবার দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম অর্থনীতির এই দেশটিতে ১ হাজার ৭৪৭ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা। এ নিয়ে দেশটিতে করোনায় মৃত্যু এক লাখ ৬৩৬ জনে পৌঁছেছে বলে ইন্দোনেশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

মহামারির শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, ব্রাজিল-সহ বিশ্বের যে ১১টি দেশে করোনায় মৃত্যু লাখ ছাড়িয়েছে; এবার ইন্দোনেশিয়া সেই তালিকায় যুক্ত হলো। ইউরোপ, আমেরিকা থেকে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এই দেশটির করোনার উপকেন্দ্রে পরিণত হওয়ার চিত্র তুলে ধরেছে লক্ষাধিক মানুষের এই মৃত্যু।

দৈনিক করোনা সংক্রমণ যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় ইন্দোনেশিয়ায় কম হলেও টিকাদানের নিম্নহার এবং দুর্বল স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা এই ভাইরাসে মানুষের মৃত্যুর হার বৃদ্ধি করেছে। দেশটির ২৭ কোটি মানুষের মধ্যে এখন পর্যন্ত মাত্র ৮ শতাংশ মানুষকে পুরোপুরি টিকার আওতায় আনা হয়েছে; যা যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় অর্ধেকেরও অনেক কম বলে ব্লুমবার্গের ভ্যাকসিন ট্র্যাকারের তথ্য বলছে।

ইন্দোনেশিয়ায় করোনায় মৃত্যু ভয়াবহভাবে দ্রুতগতিতে বাড়ছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত যতজন মারা গেছেন তাদের এক তৃতীয়াংশের বেশি মানুষের প্রাণ গেছে গত জুলাইয়ে। ওই সময় দেশটিতে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রকোপ ব্যাপক বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতালে রোগীদের উপচে পড়া ভিড় ও জীবনরক্ষাকারী অক্সিজেন ট্যাংকের মারাত্মক সংকট দেখা দেয়।

পার্কিং লটে অতিরিক্ত শয্যা স্থাপন ও হাসপাতালে শুধুমাত্র গুরুতর অসুস্থদের ভর্তির সিদ্ধান্ত নেওয়ায় অনেকে দেরীতে চিকিৎসা নেওয়ায় প্রাণহানির সংখ্যা বেড়েছে বলে মনে করছেন দেশটির স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। বড় বড় ভবনগুলোকে আইসোলেশন সেন্টারে পরিণত করা হলেও অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসা দিতে প্রচণ্ড চাপের মুখে পড়ে দেশটির স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা।

ল্যাপর কোভিড-১৯ এর তথ্য অনুযায়ী, ইতোমধ্যে অতিরিক্ত চাপের মুখোমুখি হওয়া হাসপাতালগুলোতে সরকার শুধুমাত্র তীব্র অসুস্থদের চিকিৎসা নিতে আসার আহ্বান জানানোয় হাসপাতালের বাইরে অথবা বাড়িতে যারা আইসোলেশনে ছিলেন; তাদের মধ্যে কমপক্ষে ২ হাজার ৮৩৭ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।

নয়া শতাব্দী/এসইউ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ