বিশ্বের ৭৮টি দেশে আঠারো হাজারেরও বেশি মাঙ্কিপক্স রোগী শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণের অধিকাংশই ইউরোপে। আর এই মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধে গুটিবসন্তের টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাহী বিভাগ। বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এমন খবর দিয়েছে।
রোগটিকে শনিবার ‘বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। আফ্রিকা অঞ্চলের স্থানীয় রোগ মাঙ্কিপক্স। কিন্তু চলমান সংক্রমণের ৯৮ শতাংশই আফ্রিকার বাইরে। খবর এনডিটিভির।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি অবস্থাবিষয়ক পরিচালক মাইক রায়ান বলেন, মাঙ্কিপক্সের জন্য নতুন নাম বাছাই করা হচ্ছে। রোগটিকে যাতে বর্ণবাদীরা অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতেই রোগটির নতুন নাম দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধে আরও জোরালো ও সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
সদস্য দেশগুলোর স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে ইউরোপীয় স্বাস্থ্য কমিশনার স্টেলা কিরিয়াকিডেস বলেন, মাঙ্কিপক্স শনাক্তের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে ইউরোপ। কাজেই প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে সব দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
সংক্রমণের প্রতি আরও নজরদারি ও সঠিকভাবে আক্রান্তের সংখ্যা প্রকাশ করা উচিত বলেও মনে করেন তিনি। স্টেলা কিরিয়াকিডেস বলেন, শনাক্ত রোগীরা কীভাবে আক্রান্ত হয়েছেন, তা খুঁজে বের করতে হবে। তাদের সঠিকভাবে আইসোলেশনে রাখতে হবে। যথাযথভাবে টিকা দেয়াসহ রোগটির ঝুঁকি নিয়ে পরিষ্কার যোগাযোগ রক্ষা করে চলতে হবে।
ডেনমার্কের টিকা উৎপাদক কোম্পানি ব্যাভ্যারিয়ান নর্ডিকের বরাতে আল জাজিরা বলছে, মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধে ইউরোপে গুটিবসন্তের টিকার ব্যবহার করা হবে।
মাঙ্কিপক্স চিকিৎসায় গেল সপ্তাহে ইমভ্যানেক্স নামের টিকার অনুমোদন দিতে সুপারিশ করেছিল ইউরোপীয় ওষুধ সংস্থা (ইএমএ)। এরপর সোমবার ইউরোপীয় কমিশনের অনুমোদন মিলেছে।
নয়া শতাব্দী/এফআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ