বিশ্বজুড়ে আবারও চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৭৫৯ জন। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ লাখ ৬১ হাজার ৫৮৮ জন।

এছাড়া এদিন করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭ লাখ ২৪ হাজার ৭৭৮ জন।

শনিবার (২৩ জুলাই) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মহামারির শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৫৭ কোটি ৩৫ লাখ ১ হাজার ২১৩ জন এবং এ রোগে মৃত্যু হয়েছে মোট ৬৪ লাখ ৭০২ জনের।

এছাড়া গত আড়াই বছরে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ৫৩ কোটি ৩৩ লাখ ৬৩ হাজার ৯৮৩ জন।

এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় দৈনিক সংক্রমণে বিশ্বে শীর্ষে ছিল জাপান; আর এ দিন কোভিডজনিত অসুস্থতায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে।

জাপানে শুক্রবার করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১ লাখ ৮০ হাজার ৮৮৬ জন এবং এ রোগে মারা গেছেন ৩৮ জন। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে এ দিন কোভিডজনিত অসুস্থতায় মৃত্যু হয়েছে ৩০৯ জনের এবং করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১ লাখ ৪ হাজার ১৫১ জন।

জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র ব্যতীত বিশ্বের আরও যেসব দেশে সংক্রমণ-মৃত্যুর উচ্চহার দেখা গেছে, সেসব দেশ হলো— ফ্রান্স (নতুন আক্রান্ত ৭৪ হাজার ৩৪৮, মৃত ১১৩), ইতালি (নতুন আক্রান্ত ৭১ হাজার ৭৫ জন, মৃত ১৫৫ জন), দক্ষিণ কোরিয়া (নতুন আক্রান্ত ৬৮ হাজার ৫৭৯ জন, মৃত ৩১ জন), ব্রাজিল (মৃত ২৭৫ জন, নতুন আক্রান্ত ২৪৪ জন), স্পেন (মৃত ১৮১ জন, নতুন আক্রান্ত ২৪ হাজার ২৩৪ জন) ও মেক্সিকো (মৃত ১১৫ জন, নতুন আক্রান্ত ৩৩ হাজার ৬৬০ জন)।

বিশ্বে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ৩৭ লাখ ৩৬ হাজার ৫২৮ জন। এই রোগীদের মধ্যে করোনার মৃদু উপসর্গ বহন করছেন ২ কোটি ৩৬ লাখ ৯৫ হাজার ৬৮৯ জন এবং গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রয়েছেন ৪০ হাজার ৮৩৯ জন।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে বিশ্বের প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটিও ঘটেছিল চীনে।

তারপর অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

কিন্তু তাতেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় অবশেষে ওই বছরের ১১ মার্চ করোনাকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।

নয়া শতাব্দী/ এডি