ঢাকা, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শ্রীলঙ্কায় বিক্ষোভস্থলে সেনা অভিযান, শতাধিক আটক

প্রকাশনার সময়: ২২ জুলাই ২০২২, ০৯:১৩

শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোর একটি সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শিবিরে অভিযান চালিয়ে শিবির উচ্ছেদ এবং কয়েকশ বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে দেশটির সেনাবাহিনী।

নতুন প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে শপথ নেওয়ার পরপরই শুক্রবার (২২ জুলাই) ভোরে অভিযান চালালো দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে জানা যায়, শুক্রবার ভোরে উপহাস করে রাজাপাকসের নামে নামকরণ করা ‘গোটা গো গামা’ শিবিরটি চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলে সেনাবাহিনী। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ছিল অ্যাসল্ট রাইফেল।

রাষ্ট্রপতির সচিবালয়ের সামনে অবস্থিত বিক্ষোভকারীদের তাঁবুগুলো উপড়ে ফেলতে শুরু করে তারা। বিক্ষোভের সংগঠক মঞ্জুলা সমরসেকরা জানান নির্বিচারে বিক্ষোভকারীদের লাঞ্ছিত করে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।

বিক্ষোভ শিবিরে অভিযান চালিয়ে কয়েকশ নাগরিককে আটক করা হয়, আহত হয় অন্তত ৫০ জন বিক্ষোভকারী। নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে মারধরের শিকার কয়েকজন সাংবাদিকসহ কয়েক জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বিক্ষোভে নেতৃত্ব দানকারী সংগঠক চামেরা দেদুওয়াজ বলেন, ‘‘এটি একটি নিয়মতান্ত্রিক এবং পূর্বপরিকল্পিত হামলা ছিল। তারা আসলে জনগণের উপর নৃশংসভাবে হামলা করেছে। যা ঘটেছে তা হল ক্ষমতার খুব সস্তা প্রদর্শন।’’

অথচ শুক্রবার বিকেলেই অবরুদ্ধ রাষ্ট্রপতি সচিবালয় সরকারি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের পরিকল্পনা করেছিল বলে জানান দেদুওয়াজ। অভিযানের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনও বক্তব্য দেয়নি শ্রীলঙ্কার সেনাবাহিনী।

এ ঘটনার পর নিন্দা জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কায় ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ হাল্টন সহ বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিবর্গ। কলম্বো ভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক সেন্টারের সিনিয়র গবেষক ভাবানি ফনসেকা বলেন, ‘‘জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা এবং সৈন্যদের ডাকা সহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, এই সরকার শ্রীলঙ্কায় মৌলিক অধিকার এবং আইনের শাসন নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘অতিরিক্ত শক্তি এবং বিক্ষোভকারীদের সরাতে ব্যবহৃত সহিংসতা শ্রীলঙ্কার এই মুহূর্তে যা প্রয়োজন তার থেকে একটি উল্লেখযোগ্য পার্থক্য। বিশেষ করে যখন বিক্ষোভকারীরা আগেই বলেছিল যে তারা প্রাঙ্গণ খালি করবে।’’

গণ আন্দোলনের মুখে দেশটির প্রেসিডেন্টের পদ থেকে গোতাবায়া রাজাপাকসে পদত্যাগ করার পর অন্তর্বর্তীকালীন রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নিয়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন বর্তমান রাষ্ট্রপতি রনিল বিক্রমাসিংহে। সামরিক বাহিনীকে বিক্ষোভকারীদের আটক ও গ্রেফতার করার ক্ষমতা দিতে এবং প্রতিবাদ করার অধিকার খর্ব করতে এ ক্ষমতা প্রয়োগ করছেন সদ্য নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি।

নয়া শতাব্দী/ এডি

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ