সার্বিয়া থেকে বাংলাদেশে সমরাস্ত্র নিয়ে আসার সময় ইউক্রেনীয় একটি কার্গো বিমান শনিবার (১৬ জুলাই) রাতে উত্তর গ্রিসের কাভালা শহরের কাছে বিধ্বস্ত হয়েছে। রোববার (১৭ জুলাই) সার্বিয়ান কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
গ্রিক কর্তৃপক্ষ বলেছে, উড়োজাহাজটিতে মোট ৮ জন ক্রু ছিলেন। ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ৮ ক্রুর সবাই ইউক্রেনের নাগরিক।
ঘটনাস্থল থেকে ড্রোনে তোলা ছবিতে আন্তোনভ অ্যান-১২ বিমানের ধ্বংসাবশেষ মাঠের মধ্যে ছড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
গ্রিসের কর্মকর্তারা জানায়, বিমানটিতে আটজন ক্রু ছিলেন। ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, তারা সবাই ইউক্রেনের নাগরিক।
সার্বিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, বিমানটিতে ১১ দশমিক ৫ টন সমরাস্ত্র ছিল এবং এর ক্রেতা ছিল বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
ক্রু সদস্যদের সবাই নিহত হয়েছেন বলেও জানান তিনি।
ঘটনাস্থলে তদন্তের জন্য স্পেশাল ডিজেস্টার রেসপন্স ইউনিট এবং সেনা বিশেষজ্ঞ দল পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে গ্রিক কর্তৃপক্ষ।
সার্বিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী নেবোজসা স্টেফানোভিচ বলেন, কার্গোতে মর্টার শেল এবং প্রশিক্ষণ শেলও ছিল। এটি নিস থেকে গ্রনিচ মান সময় সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত ১২টা ৪০ মিনিট) যাত্রা করেছিল।
স্টেফানোভিচ বলেন, বিমানটি আমাদের প্রতিরক্ষা শিল্পের তৈরি সাড়ে ১১ টন পণ্য বহন করেছিল। ক্রেতা ছিল বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। কার্গো বিমানটি সার্বিয়ান কোম্পানি ভ্যালির মালিকানাধীন ছিল বলেও জানান তিনি।
রাষ্ট্রীয় টিভি ইআরটি জানায়, ইঞ্জিনের সমস্যার কারণে পাইলট গ্রিক বিমান কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জরুরি অবতরণের অনুমতি চাওয়ার পরেই বিমানটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, বিমানটি মাটিতে বিধ্বস্ত হওয়ার আগে আগুন জ্বলতে দেখা যায় এবং যাতে পরে বিস্ফোরণ ঘটে।
রোববার সকালের দিকে গ্রিসের সামরিক বাহিনীর একজন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেছেন, অগ্নিনির্বাপক কর্মীদের ঠোঁট জ্বালাপোড়া করছে এবং বাতাসে সাদা ধুলা ভাসছে।
দেশটির ফায়ার ব্রিগেড সমন্বয়কারী মারিওস অ্যাপোস্টোলিডিস বলেন, আমাদের ওপর কী ধরনের প্রভাব পড়ছে, তা আমরা জানি না।
নয়াশতাব্দী/জেডআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ