এবার ইতালিতে সরকারের পতন ঘটতে যাচ্ছে। রয়টার্স জানিয়েছে, ইউরোপের দেশটির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি সমর্থন হারিয়ে পদত্যাগের ইচ্ছা পোষণ করেছেন।
তবে দেশটির প্রেসিডেন্ট সার্গিও মাতারেল্লা প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগে সম্মতি না দিয়ে তাকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন।
ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংকের সাবেক প্রেসিডেন্ট দ্রাঘি গত বছরই দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। এক বছরের মাথায়ই অর্থনীতির নাজুক পরিস্থিতি জন্য তাকে পদত্যাগের কথা ভাবতে হচ্ছে।
মূলত দ্রাঘিকে সমর্থনকারী একটি রাজনৈতিক জোট তার প্রতি সমর্থন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জানানোর পর পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি।
দ্রাঘি বলেন, সরকারের পেছনে জাতীয় ঐক্যের জোটের যে সমর্থন ছিল, তা এখন আর নেই।
আগামী বছর ইতালিতে সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। তার আগে দ্রাঘির সরকারের প্রতি সমর্থনকারী জোটের দলগুলোর মধ্যে বিভেদ বাড়ছে।
যে জোট দ্রাঘির প্রতি সমর্থন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে, সেই ফাইভ স্টার পার্টি চায়, ইউক্রেইন যুদ্ধ মূল্যস্ফীতিকে যেভাবে উস্কে দিয়েছে, তাতে ভুক্তভোগী মানুষের জন্য সরকারি সহায়তা আরও বাড়ানো দরকার।
কিন্তু দ্রাঘি সরকার তা না করায় তারা পার্লামেন্টে আস্থা ভোট বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যাতে পরাজয়ের মুখে পড়া ৭৪ বছর বয়সী দ্রাঘি নিজেই সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ফাইভ স্টার পার্টিকে ছাড়া তিনি সরকার চালিয়ে যেতে চান না।
২০১৮ সালের নির্বাচনে এই জোট সবচেয়ে বেশি আসন পেলেও এরপর থেকে জনপ্রিয়তা ক্রমেই কমছে।
প্রেসিডেন্ট মাতারেল্লা পদত্যাগের পরিবর্তে দ্রাঘিকে পার্লামেন্টে ভাষণ দিয়ে সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরার পরামর্শ দিয়েছেন বলে রয়টার্স জানিয়েছে।
তবে দ্রাঘি সেই পরামর্শ গ্রহণ করবেন কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়।
প্রেসিডেন্ট আরেকটি সরকার গঠনের জন্যও দ্রাঘিকে বলতে পারেন। অথবা আগাম নির্বাচন ডাকতে পারেন।
কোভিড মহামারীর পর এই বছর ইউক্রেইনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে অস্থির বিশ্বের অর্থনীতি, যার অবশ্যম্ভাবী ছাপ রাজনীতিতেও পড়ছে। বৈশ্বিক পরিস্থিতি আর অভ্যন্তরীণ সঙ্কটে ইতোমধ্যে পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কায় সরকার পতন হয়েছে। যুক্তরাজ্যেও প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় নিতে হয়েছে।
নয়াশতাব্দী/জেডআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ