টানা তিন ধরে দাবানলে জ্বলছে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলের বেশ কিছু প্রদেশ। দমকা বাতাস আগুনের তীব্রতাকে আরও বাড়িয়ে তুলছে। ভয়াবহ এই দাবানলে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ছয় জনের। এছাড়া বনাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া আগুনে পুড়ে মারা গেছে বহু বন্যপ্রাণীসহ অনেক গৃহপালিত পশু-পাখিও। চলমান এ অবস্থায় দেশটির পাঁচটি প্রদেশ ‘দুর্যোগ অঞ্চল’ ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান।
গত বুধবার থেকে শুরু হওয়া দাবানলে পুড়ে গেছে অনেক ঘর-বাড়ি ও বনভূমি। তবে দমকল বাহিনীর প্রচেষ্টায় শনিবার পর্যন্ত ৮৮ জায়গার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে। দাবানলের ভয়াবহতা থামাতে লড়ছে দেশটির বিভিন্ন জরুরি সংস্থার কর্মীরা। কিছু জায়গার পরিস্থিতি উন্নতি হলেও পুরোপুরি নিন্ত্রেণ আনা যায়নি।
কৃষি ও বনমন্ত্রী বেকির পাকদেমিরলি শনিবার টুইট করেন, এন্টালিয়ার জনপ্রিয় পর্যটক অঞ্চলে তিনটি স্থানের আগুন এখনো সক্রিয় রয়েছে।
তুরস্কের ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলে আগুন বিশেষভাবে গুরুতর ছিল। সেখানে প্রবল বাতাস অগ্নি নির্বাপণে বাধা সৃষ্টি করে। ফলে অনেক অঞ্চল এবং হোটেল খালি করা হয়েছে। পর্যটকদের নৌকায় করে নিরাপদ স্থানে নেওয়া হয়েছে। এদিকে বন্যপ্রাণীর পাশাপাশি গৃহপালিত অনেক পশু-পাখি আগুন পুড়ে মারা গেছে। এ সংখ্যা কত এখনও জানা যায়নি।
পরিস্থিতি নিয়ে শনিবার তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন, দাবানলে আমাদের যে মানুষগুলো আহত এবং মৃত্যু হয়েছে তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে’।
তুরস্কের ভূমধ্যসাগরের উপকূলীয় পাঁচ প্রদেশে দুর্যোগ অঞ্চল ঘোষণা করেন তিনি। দাবানল নিয়ন্ত্রণে ৪৫টি হেলিকপ্টার, ৫৫টি ভারী যানবাহন এবং এক হাজার ৮০টি জলযান কাজ করছে।
নয়া মতাব্দী/এসএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ