আফগানিস্তানের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলে ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হাজার ছাড়িয়েছে। আর আহত হয়েছেন এক হাজার ৫০০ মানুষ। দেশটির সংস্কৃতি ও তথ্য বিভাগ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। খবর আলজাজিরার।
পাকিস্তানের আবহাওয়া বিভাগ জানায়, ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশ। যা খোস্ত শহরের ৫০ কিলোমিটার (৩১ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে অবস্থিত। ভূমিকম্পে খোস্ত প্রদেশের বেশ কিছু ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আফগানিস্তানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ খোস্তের রাজধানী শহর খোস্ত থেকে আনুমানিক ৪৪ কিলোমিটার দূরে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল বলে জানিয়েছে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস)। ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ১। মাটির ৫২ কিলোমিটার গভীরে ছিল এর উৎপত্তিস্থল।
ইউরোপিয়ান মেডিটেরিয়ান সিসমোলোজিক্যাল সেন্টার জানিয়েছে, ভূমিকম্পের প্রভাব আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল এবং পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদেও অনুভূত হয়েছে।
এদিকে রাষ্ট্রপতির প্রাসাদে দেশটির প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ হাসান আখুন্দ ত্রাণ কার্যক্রমের সমন্বয়ের জন্য এক জরুরি সভায় অংশ নিয়েছেন।
তালেবান সরকারের উপমুখপাত্র বিলাল কারিমি সাহায্য সংস্থাগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পাঠানোর আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আমরা সব সাহায্য সংস্থাকে আহ্বান জানাচ্ছি, নতুন বিপর্যয় ঠেকাতে দয়া করে আপনারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় লোকজন পাঠান।
আফগানিস্তানে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী রমিজ আলাকবারভ বলেছেন, আরও সাহায্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, আফগানিস্তানে এখনো পর্যন্ত এক হাজার জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আহতের সংখ্যাও বাড়ছে। এখনো পর্যন্ত ১৫০০ মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। আফগানিস্তানের এক প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স জানিয়েছে, হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
আফগানিস্তানের পাকতিকা অঞ্চলে ভূমিকম্পের প্রভাব সবচেয়ে বেশি। সেখানে অন্তত ২৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা দুইশ-র বেশি। তালেবান সরকারের বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম হক্কানি জানিয়েছেন, ওই অঞ্চলে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। পার্বত্য অঞ্চলে সর্বত্র এখনো যাওয়া যাচ্ছে না। নানগরহরেও বেশ কিছু মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
নয়াশতাব্দী/জেডআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ