বিশ্ব নেতাদের যুদ্ধবিরতির আহ্বানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ফিলিস্তিনের গাজায় হত্যাযজ্ঞ অব্যাহত রেখেছে ইসরাইল। বুধবার ভোরেও পশ্চিমতীরে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এতে চার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। খবর আলজাজিরার।
গত ৯ দিন ধরে গাজায় ইসরাইলি নিধনযজ্ঞে নিহত বেড়ে ২২০ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৬৩ জন শিশু রয়েছে। রয়েছেন বাগদত্তা তরুণীসহ অনেক নারীও।
ইসরাইলে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের রকেট হামলায় ১২ ইসরাইলি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দুই শিশু রয়েছে।
এ ছাড়া গত ৯ দিনের সংঘাতে এ পর্যন্ত গাজায় বাস্তুচ্যুত হয়েছেন অন্তত ৪৮ হাজার থেকে ৫২ হাজার মানুষ। জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিমান হামলা ও আর্টিলারি গোলার আঘাত থেকে বাঁচতে তারা বাড়িঘর ছেড়ে জাতিসংঘ পরিচালিত ৫৮ টি স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন।
ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গাজায় অনেক হামাস সদস্যের বাড়ি ধ্বংস করা হয়েছে। এই বাড়িগুলোতে বসবাসের পাশাপাশি হামাসের সাংগঠনিক বৈঠক ও অস্ত্রের মজুদ করা হতো বলে দাবি করেছেন ইসরাইলের সামরিক কর্মকর্তারা।
গাজায় অনতিবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো যুদ্ধবিরতির জন্য কাজ করছেন বলে জানান।
যুদ্ধবিরতির জন্য ফিলিস্তিন ও ইসরাইলি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ চালিয়ে যাচ্ছেন মিসরীয় কর্মকর্তারা। যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে লবিং করে যাচ্ছে আরব লিগও।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুদ্ধবিরতিতে তার সমর্থনের কথা জানালেও হামলা বন্ধে সরাসরি কিছু বলেননি।
বিশ্বনেতাদের যুদ্ধবিরতির আহ্বানকে তোয়াক্কা না করে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইল।
এর আগেও যুদ্ধবিরতি বেশ কয়েকটি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরাইল। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যতক্ষণ প্রয়োজন হামলা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ