করোনার পরে বিশ্ববাসীর জন্য নতুন আতঙ্ক মাঙ্কি পক্স। প্রায় ৩০টি দেশে ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে এই রোগ। গোটা বিশ্বে প্রায় ৭৮০ জন আক্রান্ত। যার অধিকাংশেই ইউরোপের নানা দেশের বাসিন্দা।
এরই মধ্যে মাঙ্কিপক্স নিয়ে লেভেল-২ মাত্রার ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
মঙ্গলবার ( ৭ জুন) ইউরোপ, দক্ষিণ আমেরিকা, আফ্রিকা, এশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন দেশে এ ভ্রমণ নিষেজ্ঞা আরোপ করে মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিকার বিভাগ (সিডিসি)।
এতে বলা হয়েছে, ভ্রমণকালে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত কোনো রোগী বা অন্য কোনো সংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে।
সিডিসির লেভেল-৩ মাত্রার সতর্কতা হচ্ছে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়িয়ে চলা। এটি এখনো জারি করা হয়নি।
মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত ব্যক্তির ঠাণ্ডার উপসর্গ দেখা দিতে পারে। ২১ দিন পর রোগীর সারা দেহ ফোসকায় ভরে যেতে পারে।
মাঙ্কিপক্স সংক্রমণের পেছনে রয়েছে মাঙ্কিপক্স নামে ভাইরাস। এটি স্মলপক্স ভাইরাস শ্রেণির। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাঙ্কিপক্স এখন পর্যন্ত কম গুরুতর ও এটির সংক্রমণের সক্ষমতা তুলনামূলক কম বলেই ধারণা করছেন তারা।
নতুন রোগটি ক্রান্তীয় রেইনফরেস্ট অঞ্চলের কাছাকাছি মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার প্রত্যন্ত অংশে বেশি দেখা যাচ্ছে।
মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের প্রধান দুটি ধরন—পশ্চিম আফ্রিকান ও মধ্য আফ্রিকান।
মাঙ্কিপক্সের প্রাথমিক লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা, ঘেমে যাওয়া, পিঠে ব্যথা, মাংসপেশির টান ও অবসাদ। জ্বর কমলে শরীরে দেখা দেয় ফুসকুড়ি। অধিকাংশ ঘটনায় শুরুতে মুখে ফুসকুড়ি দেখা দেয়। পরে অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে; বিশেষ করে হাতের তালু ও পায়ের তলায়।
নয়া শতাব্দী/ এডি
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ