ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

অনাস্থা ভোটে বিজয়ী বরিস জনসন

প্রকাশনার সময়: ০৭ জুন ২০২২, ০৬:১৯

ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টির মধ্যে অনাস্থা ভোটে বিজয়ী হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

বিবিসি জানায়, ভোটে তার পক্ষে ভোট পড়ে ২১১টি। বিপক্ষে ভোট পড়ে ১৪৮টি। কনজারভেটিভ দলের ভেতরে ১৯২২ কমিটির সভাপতি স্যার গ্রাহাম ব্রেডি এই ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন।

সোমবার (৬ জুন) রাতে কনজারভেটিভ দলের এমপিদের এক গোপন ব্যালটে জনসনের ভাগ্য নির্ধারিত হয়। এই ফলাফলের সুবাদ আগামী এক বছর প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দলের মধ্যে থেকে কোন ধরনের অনাস্থা প্রস্তাব আনা যাবে না।

শিক্ষামন্ত্রী নাদিম জাহাউই বলেন, প্রধানমন্ত্রী সুন্দরভাবে ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। আমি আশা করি আমরা বিষয়টি বিশেষভাবে লক্ষ্য করবো।

বিবিসির রাজনীতি বিষয়ক সম্পাদক ক্রিস মেসন জানাচ্ছেন, জনসনের জন্য ভোটের গাণিতিক হিসেবটি খুবই কাজে লেগেছে। তবে পার্টিগেট কেলেঙ্কারিকে প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা কতখানি কমেছে তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল গত শুক্রবার যখন লন্ডনে সেন্ট পলস ক্যাথেড্রালের বাইরে সমবেত জনতা তার প্রতি দুয়ো দুয়ো বলে আওয়াজ তোলে। চরম সত্যটা হলো এই কেলেঙ্কারিকে ঘিরে বহু লোক খুবই ক্ষুব্ধ হয়েছেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটে যতজন এমপি তার বিরুদ্ধে ছিলেন, জনসনের বিরোধীরা সংখ্যায় তার চেয়েও বেশি। সেই ভোটের ছয় মাস পর টেরিজা মে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।

জনসনের সমর্থকরা অবশ্য বলছেন, এখন দলের পরিস্থিতি ভিন্ন। কিন্তু এই ভোটের অর্থ হলো জনসনের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ রয়েছে, তা সহজেই দূর হবে না।

কনজারভেটিভ এমপিদের অনেকেই মনে করছেন, প্রধানমন্ত্রীর আচরণকে কোনভাবে সমর্থন করা যায় না।

অনেকে চাঁছাছোলা ভাবেই বলেছেন, হয় জনসনকে সরিয়ে দিতে হবে, নয়তো আগামী নির্বাচনে জনগণই তাদের সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করবে।

বেশ কয়েকটি কারণে প্রধানমন্ত্রী জনসন চাপের মুখে ছিলেন, যার মধ্যে একটি বড় কারণ হচ্ছে কোভিড লকডাউনের সময় ডাউনিং স্ট্রীটে বিধিনিষেধ ভেঙে পার্টি করতে দেয়া।

নয়াশতাব্দী/জেডআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ