ঢাকা, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

নেপালে প্লেন বিধ্বস্ত, ১৪ মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশনার সময়: ৩০ মে ২০২২, ১০:৪৪

নেপালে বিধ্বস্ত প্লেনটির সন্ধান পেয়েছে উদ্ধারকারী দল। এরপর সেখান থেকে এরই মধ্যে ১৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিদের সন্ধানে তল্লাশি চলছে। রোববার (২৯ মে) দেশটির তার এয়ারের একটি প্লেন ২২ জন যাত্রী ও তিনজন ক্রু নিয়ে নিখোঁজ হয়। খবর কাঠমান্ডু পোস্টের।

প্লেনটিতে ১৩ জন নেপালি, চারজন ভারতীয় ও দুজন জার্মান নাগরিক ছিলেন।

নেপালের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, নিখোঁজ হওয়ার প্রায় ২০ ঘণ্টা পরে উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের মুস্তাং জেলায় প্লেনটির ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেলো।

দেশটির সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নারায়ণ সিলওয়াল সোমবার (৩০ মে) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্লেনটির ধ্বংসাবশেষের ছবি শেয়ার করেছেন।

প্লেনটি পোখারা থেকে জমসমের উদ্দেশে যাত্রা করেছিল। তারা এয়ারের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় রোববার সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে পোখারা থেকে প্লেনটির সঙ্গে সব সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

কয়েকটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই অঞ্চলে খারাপ আবহাওয়া বিরাজ করছে। কয়েক দিন ধরে সেখানে বৃষ্টি হচ্ছে। তবে ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক ছিল।

রোববার সকালের দিকে ৪ ভারতীয়, তিন জাপানি নাগরিকসহ ২২ আরোহীকে নিয়ে তারা এয়ারের ৯৯-এনএইটি বিমানটি নিখোঁজ হয়। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, পোখারা থেকে জমসমের উদ্দেশে উড্ডয়নের ১৫মিনিট পর সকাল ৯টা ৫৫মিনিটের দিকে বিমানটির সঙ্গে রাডারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার আগ মুহূর্তে বিমানটি মুসতাং জেলার লেতে এলাকার আকাশে ছিল।

উড্ডয়নের ১৫ মিনিট পর নেপালের তারা এয়ারের দুই ইঞ্জিনবিশিষ্ট ৯-এনএইটি যাত্রীবাহী বিমানটির সঙ্গে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বলে এয়ারলাইনের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন। মুখপাত্র সুদর্শন বারতৌলা বলেছেন, বিমানটিতে ১৩ জন নেপালি, ৪ জন ভারতীয়, দুই জার্মান এবং নেপালের তিনজন ক্রু ছিলেন।

প্রেম নাথ ঠাকুর বলেছেন, সেনাবাহিনীর ১০ জন সদস্য এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের দুই কর্মচারীকে নিয়ে সামরিক বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার সম্ভাব্য স্থান মুসতাং জেলার নরশাং মঠের কাছে লামচে নদীর তীরে অবতরণ করেছে। এছাড়াও সেনা ও পুলিশ সদস্যদের স্থলপথেও ঘটনাস্থলের উদ্দেশে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

দেশটির সংবাদমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্টকে মায়াগদি জেলার প্রধান কর্মকর্তা চিরঞ্জীবী রানা বলেছেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে। দুর্ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্যদের একটি দল মোতায়েন করা হয়েছে। যে এলাকায় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে সেখানে কোনও মানব বসতি নেই।

তবে মুসতাংয়ের প্রধান জেলা কর্মকর্তা নেত্র প্রসাদ শর্মা টেলিফোনে ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআইকে বলেছেন, বিধ্বস্ত হওয়ার আগে বিমানটি মুসতাংয়ের জমসমের আকাশে ছিল এবং তারপরে মাউন্ট ধৌলাগিরির দিকে মোড় নেয়। এরপর বিমানটির সঙ্গে রাডারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

পুলিশ কর্মকর্তাদের মতে, বিমানটি মুসতাং জেলার লেতের তিতি এলাকায় বিধ্বস্ত হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। মুসতাং পুলিশের কর্মকর্তা রাম কুমার দানি বলেছেন, তিতির স্থানীয় বাসিন্দারা টেলিফোন করে আমাদের জানিয়েছেন যে তারা বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। তল্লাশি অভিযান চালানোর জন্য আমরা একটি হেলিকপ্টার মোতায়েন করেছি।

নয়া শতাব্দী/এসএম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ