বিধিনিষেধ না মানা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় শহর সিডনির কর্তৃপক্ষ পুলিশকে বাড়তি ক্ষমতা দিয়েছে। শহরটিতে বৃহস্পতিবার এক দিনে রেকর্ড ২৩৯ নতুন কোভিড রোগী শনাক্তের পর এমন পদক্ষেপ নিল কর্তৃপক্ষ।

এ তথ্য জানিয়ে এক প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলেছে, গত বছর করোনা মহামারি শুরুর পর দেশটির নিউ সাউথ ওয়েলসের এ রাজধানী শহরে আর কখনোই বৃহস্পতিবারের মতো এক দিনে এত রোগী শনাক্ত হয়নি।

শনাক্ত রোগীর ঊর্ধ্বগতি থামাতে শহরটিতে গত জুনের শেষ থেকে শুরু হওয়া লকডাউনের পঞ্চম সপ্তাহ চললেও অতি সংক্রামক ডেল্টা ধরনের বিস্তার কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। সংক্রমণ মোকাবিলায় কর্তৃপক্ষের নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, সিডনির ৮টি ভাইরাস ‘হটস্পটের’ ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দাকে এখন থেকে চার দেয়ালের বাইরে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরতে হবে। বাড়ির ৫ কিলোমিটারের মধ্যে থাকতে হবে তাদের।

সিডনিতে নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার গ্লেডিস বেরেজিক্লিয়ান সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘অল্প কয়েকজন, মোট বাসিন্দার ক্ষুদ্র একটি অংশ অন্যায় করছেন। যে কারণে আমাদের পিছিয়ে পড়তে হচ্ছে। কিন্তু আমরা আর পিছিয়ে পড়তে পারি না।’

এবারের প্রাদুর্ভাবে এখন পর্যন্ত শহরটিতে ২ হাজার ৮০০র বেশি কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে।

এদের মধ্যে ১৮২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। এখনো নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে আছে ৫৪ জন। এর মধ্যে ২২ জনেরই ভেন্টিলেশন লাগছে।

এদিকে দেশটির ফেডারেল ট্রেজারার জশ ফ্রাইডেনবার্গ বলেছেন, সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতি খানিকটা সংকুচিত হবে বলে তিনি ধারণা করছেন। তবে নিউ সাউথ ওয়েলস যদি দ্রুত সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে তাহলে মন্দা এড়ানো যেতে পারে বলে অভিমত তার।

প্রসঙ্গত, বিধিনিষেধের মেয়াদ কয়েক দফা বাড়িয়ে সিডনিতে টানা ৯ সপ্তাহের লকডাউন দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৮ আগস্ট এ বিধিনিষেধ শেষ হওয়ার কথা।

নয়া শতাব্দী/এসইউ