ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

পাকিস্তানে ছাগল গণধর্ষণ: পাঁচজনকে খুঁজছে পুলিশ

প্রকাশনার সময়: ২৯ জুলাই ২০২১, ১০:২৪

পাকিস্তানে ওকারা শহরে একটি ছাগলকে গণধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচ জন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের জন্য খুঁজছে পুলিশ বলে জানা গেছে।-খবর বিবিসি।

আজহার হোসেন নামে একজন ব্যক্তি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন যে, তার পোষা ছাগলটিকে একদল ব্যক্তি যৌন নিপীড়ন ও নির্যাতন করে। নির্যাতনের কারণে ছাগলটির মৃত্যু হয়।

পুলিশ বলছে, শহরের সাতঘরা এলাকায় অভিযুক্তরা ছাগলটিকে ধর্ষণ করে হত্যার পর পালিয়ে যায় দুবৃত্তরা।

সাতঘরা পুলিশ স্টেশনের একজন কর্মকর্তা মুহাম্মদ উসমান বিবিসিকে বলেন, ছাগলটির মৃতদেহ উদ্ধার করে একটি পশু হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে ময়নাতদন্ত করে নিশ্চিত হওয়া গেছে, ‌‘ছাগলটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে।’

পুলিশ বলছে, হাসপাতালের প্রতিবেদন পাওয়ার পর তারা একটি মামলা লিপিবদ্ধ করেছেন।

আজহার হোসেন পুলিশকে বলেন,‘তার ছাগলটির মূল্য ছিল ৬০ হাজার পাকিস্তানি রুপি। ছাগলটি তার ঘরের সামনে বাঁধা ছিল। অভিযুক্তরা বাঁধন খুলে একটি ফাঁকা স্থানে নিয়ে যান। সেখানে ছাগলটিকে ধর্ষণ করেন তারা। তারা ছাগলটিকে নির্যাতনও করেন।

আজহার হোসেন পুলিশের কাছে তিনজন অভিযুক্তের নাম উল্লেখ করেন। বাকি অভিযুক্তরা অজ্ঞাতনামা।

তিনি পুলিশকে বলেন, ঘরের সামনে ছাগলটিকে বাঁধা না দেখতে পেয়ে তিনি ক'জন বন্ধুকে নিয়ে খুঁজতে বের হন। এক পর্যায়ে তারা দেখতে পান অভিযুক্তরা ছাগলটিকে নির্যাতন করছে। দূর থেকে তাদের দেখতে পেয়ে অভিযুক্তরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। তিনি যখন ছাগলটির কাছে পৌঁছান, ততক্ষণে সেটি মরে যায়।

হাসপাতাল থেকে ময়নাতদন্তের যে প্রতিবেদন পাওয়া গেছে তাতে স্পষ্টভাবে যৌন ক্রিয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। অভিযুক্তদের ধরার পর তাদের ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে নিশ্চিত হওয়ার জন্য।

পুলিশের কর্মকর্তা মুহাম্মদ উসমান বিবিসিকে বলেছেন, একজন মানুষের সাথে এ ধরনের অপরাধ ঘটলে যতটা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হতো, এই ক্ষেত্রেও সেই একই গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হবে।

এ ঘটনায় পাকিস্তানের দণ্ডবিধির ৪২৯ ও ৩৭৭ ধারায় মামলা করা হয়েছে।

৪২৯ ধারা অনুযায়ী কোন প্রাণীকে হত্যা, আহত কিংবা বিকলাঙ্গ করা হলে দশ হাজার টাকা জরিমানা কিংবা দুই বছরের কারাদণ্ড কিংবা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।

পুলিশ বলছে, মানুষের সঙ্গে ‘অস্বাভাবিক যৌন অপরাধের’ যে শাস্তি, কোনো প্রাণীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের শাস্তিও সেই একই।

পাকিস্তানি দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারা অনুযায়ী, প্রকৃতির নিয়মকে অগ্রাহ্য করে কেউ যদি কোনো পুরুষ, নারী কিংবা কোনো প্রাণীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে তবে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। সূত্র : বিবিসি বাংলা

নয়া শতাব্দী/জেআই/এসএম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ