ঢাকা, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইউরোপে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে

প্রকাশনার সময়: ২১ মে ২০২২, ১৯:০৬

সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিরল রোগ মাঙ্কিপক্স ছড়িয়েছে। ইউরোপে এই পক্সে সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ইতোমধ্যে ইউরোপে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে।

জার্মান কর্মকর্তারা বলছেন, মহাদেশে রোগটির এটিই সবচেয়ে বড় প্রাদুর্ভাব। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এখবর জানিয়েছে।

শুক্রবার (২০ মে) পর্যন্ত যুক্তরাজ্য, স্পেন, পর্তুগাল, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়াতে এই রোগে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে।

বানরে শনাক্ত হওয়া রোগটি ঘনিষ্ঠ স্পর্শের মাধ্যমে ছড়ায়। তবে আফ্রিকার বাইরে রোগটিতে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা এতদিন পর্যন্ত বিরল ছিল। ফলে ইউরোপসহ যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ায় রোগটি ছড়িয়ে পড়ায় উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে।

অবশ্য, বিজ্ঞানীরা করোনাভাইরাস মহামারির মতো সংক্রমণের আশঙ্কা করছেন না। সার্স-কভ-২ ভাইরাসের মতো সহজে মাঙ্কিপক্স ছড়ায় না বলে তারা এমনটি মনে করছেন।

এদিকে, ইউরোপের দেশগুলোতে একশর বেশি মানুষের দেহে মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের নিশ্চিত সংক্রমণ কিংবা রোগের উপসর্গ দেখা যাওয়ায় শুক্রবার জরুরি বৈঠকে বসেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

যুক্তরাষ্ট্রের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র (সিডিসি) এর তথ্য অনুযায়ী, মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত ব্যক্তির মুখ ও শরীরে চিকেন পক্সের মতো ফুসকুড়ি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তার আগে ফ্লুর মতো উপসর্গ যেমন জ্বর, পেশিতে ব্যথা এবং টনসিল হতে পারে।

মাঙ্কিপক্স ভাইরাসটি প্রথম একটি বন্দী বানরের মধ্যে শনাক্ত করা হয়েছিল এবং ১৯৭০ সাল থেকে আফ্রিকার ১০টি দেশে বিক্ষিপ্তভাবে প্রাদুর্ভাবের খবর পাওয়া গেছে।

২০০৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এর প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছিল। এটি ছিল আফ্রিকার বাইরে প্রথম সংক্রমণ। প্রেইরি প্রজাতির কুকুরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শ থেকে এর সংক্রমণ হয়। ৮১টি সংক্রমণের তথ্য রেকর্ড হলেও কোনও মৃত্যুর রেকর্ড পাওয়া যায়নি।

২০১৭ সালে এই ভাইরাসের রেকর্ড প্রাদুর্ভাব নাইজেরিয়ায় দেখা দেয়। সেখানে ১৭২ জন সন্দেহভাজন রোগী ছিল। এদর মধ্যে ৭৫% রোগী ছিল ২১ থেকে ৪০ বছর বয়সী পুরুষ।

নয়াশতাব্দী/জেডআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ