চলতি বছর তীব্র শীতের মুখোমুখি হতে পারে ইউরোপ। শীত কিংবা তুষারঝড়ের সময় অঞ্চলটিতে গ্যাসের চাহিদা ব্যাপকভাবে বাড়ে। তবে ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে রাশিয়ার গ্যাসের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে যাচ্ছে মহাদেশটি।
এমন পরিস্থিতিতে রাইস্টাড এনার্জির বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, তীব্র শীতের আবহাওয়ায় রাশিয়ার গ্যাসের বিকল্প হিসেবে যথেষ্ট এলএনজি নাও পাওয়া যেতে পারে। ফলে সে সময় ইউরোপে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম বেড়ে তিনগুণ হতে পারে।
রোববার (১৫ মে) রাশিয়া সংবাদমাধ্যম আরটির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শীতের মৌসুমে প্রতি এক হাজার ঘনমিটার গ্যাসের দাম তিন হাজার পাঁচশত ডলারে পৌঁছাতে পারে। গত বছর রাশিয়া ১৫৫ বিলিয়ন ঘনমিটার গ্যাস ইউরোপে পাঠিয়েছে, যা তাদের মোট গ্যাস রপ্তানির ৩১ শতাংশের বেশি।
বিশ্লেষকরা জানান, রাশিয়ার গ্যাসের বিকল্প খুবই কঠিন। তাই রুশ গ্যাসের সরবরাহ বন্ধ হলে ইউরোপের মানুষ ও অর্থনীতির ওপর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, চলতি বছরে বিশ্বজুড়ে এলএনজির চাহিদা ছাড়াতে পারে ৪৩৬ মিলিয়ন টনকে। যা স্বাভাবিক ৪১০ মিলিয়ন টনের চেয়ে বেশি। সরবরাহে ভারসাম্যহীনতা ও উচ্চ মূল্য এলএনজি প্রকল্পগুলোর ক্ষেত্রে অস্থির পরিবেশ তৈরি করবে।
ইউরোপের কিছু জ্বালানি কোম্পানির বিরুদ্ধে প্রথম বারের মতো ব্যবস্থা নিয়েছে মস্কো। এতে চলতি সপ্তাহে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম বেড়েছে। বৃহস্পতিবার ইউরোপে এক হাজার ঘনমিটার গ্যাসের দাম এক হাজার দুইশ ডলার ছাড়িয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় ৩০০ শতাংশ বেশি।
এদিকে পশ্চিমাদের সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে ফিনল্যান্ড। এতে বারবার ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে আসছে রাশিয়া। এরই ধারাবাহিকতায় দেশটিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করেছে পুতিন প্রশাসন।
নয়া শতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ