ফিলিস্তিনি যুবক আবদু ইউসুফ আল-খাতিব আল-তামিমিকে ডিটেনশন সেন্টারে ব্যাপক মারধর করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। আর এতেই তিনি নিহত হয়েছেন বলে তার পরিবারের দাবি।
কারাগারে আটক অন্যান্য বন্দিরাও এমন অভিযোগ করেছেন। ৪৩ বছর বয়সী এই যুবককে কুখ্যাত মোসকাবিয়া ডিটেনশন সেন্টারে নির্যাতনে হত্যা করা হয়েছে। পশ্চিম জেরুজালেমের ওই ডিটেনশন সেন্টারটি রাশিয়ান কম্পাউন্ড নামেও পরিচিত।-খবর আল-জাজিরার।
গত ২৩ জুলাই ইসরায়েলি বাহিনীর ভয়াবহ নির্যাতনে নিহত হন চার সন্তানের জনক আবদু ইউসুফ। অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের একটি শরণার্থী শিবিরে পরিবার নিয়ে তিনি থাকতেন। সামান্য ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের দায়ে কয়েকদিন আগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
তার গর্ভবতী স্ত্রী রানা ও অন্যান্য বন্দিরা বলেন, নিহত হওয়ার আগে ইসরায়েলি বাহিনীর ব্যাপক নির্যাতনের শিকার হন আবদু ইউসুফ। তাকে বেদম মারধর করা হয়েছে।
রানা জানান, মোসকাবিয়ার অন্যান্য কারাকক্ষের বন্দিরা আমাদের ফোন দিয়েছিল। তারা আবদু ইউসুফের চিৎকার শুনতে পেয়েছেন। তাকে বৃষ্টির মতো ঘুষি মারা হয়েছে। নির্যাতনের এক পর্যায়ে তিনি মারা যান।
কারাগারে যাওয়ার আগে তার কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা ছিল না বলেও মন্তব্য করেন রানা। তার শাশুড়ি আমাল তাহা বলেন, ঈদুল আজহার কারণে আবদুসহ আরও তিন বন্দি আল্লাহর নাম জপছিলেন। কিন্তু কারাপ্রহরীরা তাদের তা করতে না করেন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছিল। পরে আরেকটি কারাকক্ষে নিয়ে তাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।
তার মৃত্যুর পর যে ছবি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম দেখা গেছে। এসব ক্ষত ঢাকতে তাতে সেলাই দেওয়া হয়েছে। হাঁটুতে রক্তাক্ত জখম ছিল। শরীরের বিভিন্ন অংশে মারধরের দাগ পড়ে গেছে।
নয়া শতাব্দী/এসইউ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ