ঢাকা, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

করোনা: মৃত্যু হাজারের নিচে, কমেছে শনাক্তও

প্রকাশনার সময়: ০২ মে ২০২২, ০৮:৫৮

প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বজুড়ে প্রকোপ কিছুটা কমে এসেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে ৯২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময় অদৃশ্য ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে দুই লাখ ৬৮ হাজারের বেশি মানুষের দেহে।

করোনাভাইরাসের লাইভ আপডেট দেওয়া ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে দুই লাখ ৬৮ হাজার ৪০২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ৯২৬ জনের।

নতুন শনাক্তদের নিয়ে মোট ৫১ কোটি ৩৫ লাখ ৮০ হাজার ৯৩১ জনের করোনা ধরা পড়ল। এছাড়া নতুনদের নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ৬২ লাখ ৬১ হাজার ৫৯৮ জনের। অদৃশ্য ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়েছেন ৪৬ কোটি ৭৬ লাখ ৯৫ হাজার ৩০ জন।

একদিনে করোনায় বেশি সংক্রমিত হয়েছে ইতালিতে। এই সময়ে দেশটিতে নতুন করে ৪০ হাজার ৭৫৭ জন সংক্রমিত হয়েছে প্রাণঘাতী ভাইরাসটিতে। মারা গেছেন ১০৫ জন।

দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে রাশিয়া। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৪৭ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৭ হাজার ৪৭ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৫১৮ জন এবং মারা গেছেন ২১ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮ কোটি ৩০ লাখ ৮৩ হাজার ৪২৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১০ লাখ ২০ হাজার ৮৫৪ জন মারা গেছেন।

ফ্রান্সে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬ হাজার ৭২৬ জন এবং মারা গেছেন ৩২ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৮৬ লাখ ৮২ হাজার ১১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯৬২ জন মারা গেছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণ কোরিয়ায় ৩৭ হাজার ৭৭১ জন আক্রান্ত এবং ৮১ জন মারা গেছেন।

এছাড়া ব্রাজিলে নতুন আক্রান্ত ছয় হাজার ২৫৪, ‍মৃত্যু ১৬, জার্মানিতে নতুন আক্রান্ত আট হাজার ৯৯৫, মৃত্যু ১৩, রাশিয়ায় নতুন আক্রান্ত সাত হাজার ৪৭, মৃত্যু ১৪৭, তুরস্কে নতুন আক্রান্ত এক হাজার ৪৮০, মৃত্যু ১২, ভিয়েতনামে নতুন আক্রান্ত তিন হাজার ৭১৭ এবং একজনের মৃত্যু হয়েছে।

২০১৯ সালের শেষ দিকে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের দুই শতাধিক দেশ ও অঞ্চলে।

মহামারি শুরুর প্রায় এক বছর পর টিকা আবিষ্কার করতে সক্ষম হন বিজ্ঞানীরা। তারপর থেকে করোনার ঢেউ অনেকটা কমে আসে। এমন অবস্থার পর করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন বিশ্বজুড়ে ফের আতঙ্ক সৃষ্টি করে। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ করোনা টিকার বুস্টার ডোজের ওপর জোর দিচ্ছে। করোনার প্রকোপ থেকে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে বিশ্ব।

নয়া শতাব্দী/এম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ