ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শ্রীলঙ্কাকে সহায়তা দিতে প্রস্তুত চীন

প্রকাশনার সময়: ২৪ এপ্রিল ২০২২, ১১:৪৯

নিজেদের ঋণখেলাপি ঘোষণার পর দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়েছে। দেশটির রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপাকসের পদত্যাগের দাবিতেও চলছে আন্দোলন। এর মাঝে দেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে নতুন মন্ত্রিসভা নিয়ে ক্ষমতায় বসা দেশটির প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে গত শুক্রবার কথা বলেছেন চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংয়ের সঙ্গে। এসময় জরুরি প্রয়োজনে শ্রীলঙ্কাকে সহায়তা দিতে চীন প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছে চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা শিনহুয়া।

শিনহুয়া আরো জানিয়েছে, চীনের প্রধানমন্ত্রী যে কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতির অধীনে শ্রীলঙ্কাকে স্থিতিশীল অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন অর্জনে সহায়তা করতে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করতে ইচ্ছুক। এসময় রাজাপাকসে চীনের এই জোরালো সমর্থনের প্রশংসা করেছেন বলে জানা গেছে। অর্থ, বাণিজ্য ও পর্যটনের উন্নয়নে মুক্তবাণিজ্য চুক্তি নিয়েও কথা হয়েছে দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের মাঝে। খাদ্যপণ্য ও জ্বালানির তীব্র সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে মঙ্গলবার মধ্য শ্রীলঙ্কার রামবুক্কানায় একটি মহাসড়ক অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। টায়ার জ্বালিয়ে রাজধানী কলম্বোয় যাওয়ার প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন হাজার হাজার মানুষ। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বেধে যায়। এসময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন একজন। আন্দোলকারীরা রাজাপাকসের পরিবারের শাসনের অবসান চাইছেন। সংঘর্ষের আগে দেশটির রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিন দিনের জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েন করেন।

শ্রীলঙ্কার এই কঠিন পরিস্থিতিতে চারশ’ কোটি ডলারের অর্থ সহায়তার প্রয়োজন বলে শ্রীলঙ্কার বিশ্লেষকরা মনে করছেন। এর আগে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল দেশটির পাশে দাঁড়ানোর চিন্তাভাবনা করছে বলে আভাস পাওয়া যায়।

বেইজিংয়ে চীনা কূটনীতিক পালিথা কোহোনা শুক্রবার বলেন, আইএমএফের আগ্রহ থাকলেও চীনা সহায়তার প্রতিশ্রুতি শ্রীলঙ্কার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দৃঢ়ভাবে কাজ করবে। চীন আড়াই বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেবে বলেও আশাবাদী তিনি। চীনের কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তিনি এমন বার্তাও দেন যে ঋণ ও ক্রেডিট লাইনের মাধ্যমে সতায়তা দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। তবে ফান্ডিংয়ের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাতে পারেননি তিনি এবং কবে সেটি দেয়া হবে তাও স্পষ্ট করেননি এই চীনা কূটনীতিক। চা উৎপাদনে অগ্রগণ্য, শিক্ষিত জনগণ, পর্যটনখাতে বিপুল পরিমাণ আয়, তা সত্ত্বেও কেন শ্রীলঙ্কার এমন আর্থিক পরিণতি তার জন্য এককভাবে কোনো কারণকে দায়ী করা মুশকিল। ১৯৪৮ সালে দেশটি স্বাধীনতা লাভের পর সত্তরের দশকেই একবার অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে পড়ে, এরপর এবার নিজেদেরকে ঋণখেলাপি ঘোষণা করতে বাধ্য হলো দেশটি।

নয়া শতাব্দী/এম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ