ঢাকা, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

হতে পারেন নতুন পাক প্রধানমন্ত্রী, কে এই শাহবাজ?

প্রকাশনার সময়: ১০ এপ্রিল ২০২২, ০৭:৪৯

শেষ পর্যন্ত অনাস্থা ভোটে হেরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ হারালেন ইমরান খান। ইমরানের বিদায়ের খবরে পার্লামেন্টে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন বিরোধীরা। এরইমধ্যে হেলিকপ্টারে করে ইসলামাবাদ ছেড়েছেন ইমরান।

এরপর পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হবেন তা নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে। বিরোধী দলনেতা শাহবাজ শরিফ পরবর্তী পাক প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন বলে বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম। খবর জিও টিভির

খবরে বলা হয়েছে, শিগগিরই প্রেসিডেন্ট আলিফ আলভির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন শাহবাজ শরিফ। মঙ্গলবার পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করা হবে।

পাকিস্তানের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই শাহবাজ শরিফ বর্তমানে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) এর সভাপতি।

পরপর তিনবার পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন শাহবাজ। আন্তর্জাতিক স্তরে সেভাবে খ্যাতি না থাকলেও সুচারু রাজনীতিক হিসাবে পাকিস্তানে বেশ পরিচিত তিনি। ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার ক্ষেত্রেও নেতৃত্ব দিয়েছেন শাহবাজ।

জানা গিয়েছে, শাহবাজকেই প্রশাসক হিসেবে দেখতে চাইছেন ইমরান বিরোধীরা। এদিন ইমরানের সাবেক স্ত্রী রেহাম খান শাহবাজের একটি ছবি টুইট করে লিখেছেন, 'আমাদের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী'। সূত্রের খবর, পাকিস্তানের সেনার সঙ্গেও সম্পর্ক ভালো শাহবাজের।

১৯৯৭ সালে প্রথমবার পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন শাহবাজ শরিফ। কিন্তু, ১৯৯৯ সালে জেনারেল পারফেজ মোশাররফের নেতৃত্বে পাকিস্তানে সেনা অভ্যুত্থান ঘটে। পরবর্তীতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীহন মোশাররফ। ওই সময় পাকিস্তান ছেড়ে সৌদি আরবে পালিয়ে যান শাহবাজ শরিফ। টানা আট বছর সেখানেই ছিলেন তিনি।

এরপর ২০০৭ সালে শাহবাজ ফের পাকিস্তানে ফিরে আসেন। ২০০৮ সালে নির্বাচনে জিতে আবারও পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হন। ২০১৩ সালেও তাকেই মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন করে পাঞ্জাবের জনতা। ২০১৮ সালে তিনি হেরে যান। এবার তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চাইছেন বিলাওয়াল ভুট্টো, মরিয়ম নওয়াজরা।

প্রসঙ্গত, রবিবার ইমরান খানের এর বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবকে সমর্থন জানিয়েছেন ১৭৪ জন। পাকিস্তানের ইতিহাসে এই প্রথমবার মধ্যরাতে কোনো প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আস্থা ভোট সম্পন্ন হল। এদিন ইমরানের সঙ্গে দেখা করেন ন্যাশনাল এসেম্বলির স্পিকার। তারপরই স্পিকার এবং ডেপুটি স্পিকার পদত্যাগ করেন। পার্লামেন্ট ছেড়ে বেরিয়ে যেতে দেখা যায় ইমরানের দলের সব সাংসদদের। শুধু বিরোধীদের উপস্থিতিতে ভোটাভুটির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন প্রধান বিচারপতি।

নয়া শতাব্দী/এম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ