ঢাকা, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় ছেড়েছেন ইমরান খান

প্রকাশনার সময়: ১০ এপ্রিল ২০২২, ০৬:০৬

অনাস্থা প্রস্তাবের ভোটে হেরে যাওয়ার আগমুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় ছেড়েছেন ইমরান খান। পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার আসাদ কায়সার নিজ পদ থেকে পদত্যাগ করার পর প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় ত্যাগ করেন ইমরান খান। খবর জিও নিউজের।

দিনভর নাটকীয়তার পর শনিবার (৯ এপ্রিল) রাতে অনাস্থা ভোটে হেরে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারালেন ইমরান খান। তিনি ছিলেন পাকিস্তানের ২২তম প্রধানমন্ত্রী। তার ক্ষমতাচ্যুতির মধ্যদিয়ে দেশটির নির্বাচিত একজন প্রধানমন্ত্রীও পূর্ণ মেয়াদ করতে পারলেন না।

তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতা ফয়সাল জাভেদ খান এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, অনাস্থা ভোটে হেরে যাওয়ার কয়েক মিনিট আগে সরকারি বাসভবন থেকে বিদায় নেন ইমরান খান। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে তিনি সদয়ভাবে বেরিয়ে যান। কারণ পাকিস্তানের স্পিকার আসাদ কায়সার পদত্যাগের পর তিনি ধরে নিয়েছেন অনাস্থা প্রস্তাবের ভোটের ফলাফল তার অনুকূলে নাও আসতে পারে। তাকে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় ছাড়তে হবে। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

কয়েক দফা মুলতবির পর দেশটির স্থানীয় সময় শনিবার রাত ১১টা ৫০ মিনিটে পাকিস্তানের সংসদ অধিবেশন অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হয়। এতে ইমরানের বিরুদ্ধে ভোট পড়েছে ১৭৪টি। প্রস্তাব পাসের জন্য দরকার ছিল ১৭২ ভোট। ভোটাভুটি শেষে প্যানেল স্পিকার পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ) নেতা আয়াজ সাদিক এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

দেশটির সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ মেনে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টাতেই বসে পাকিস্তানের পার্লামেন্টের অধিবেশন। কিছুক্ষণ না যেতেই দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত তা মুলতবি করা হয়। পুনরায় অধিবেশন বসতে না বসতে আবারও মুলতবি। এভাবে তিন দফা মুলতবি শেষে ইফতারের পর অধিবেশন শুরু হয়। তবে এবারও ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটির ঘোষণা এলো না। আবার বিরতি। এরপর ভোটাভুটি শুরুর ঠিক আগ মুহূর্তে নিজেদের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন পাকিস্তানের স্পিকার আসাদ কায়সার ও ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি। এরপর প্যানেল স্পিকার আয়াজ সাদিকের সভাপতিত্বে অনাস্থা ভোট শুরু হয়।

আর্থিক দুরবস্থা ও ভুল পররাষ্ট্রনীতির অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে বিরোধী দলগুলো। এ অনাস্থা প্রস্তাবকে ‘অসাংবিধানিক’ আখ্যা দিয়ে ৩ এপ্রিল খারিজ করে দেন জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি। ওই দিনই প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। এতে চরম রাজনৈতিক সংকটে পড়ে পাকিস্তান।

নয়া শতাব্দী/জিএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ