ভারতের মহারাষ্ট্রে ভারি বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে কেবল রায়গড়েই ভূমিধসে নিহত হয়েছেন অন্তত ৪০ জন। এখনও বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে ৯০ হাজারের বেশি বাসিন্দাকে।
মৌসুমি বৃষ্টিপাতে নাকাল ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্য। তবে মহারাষ্ট্রের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। শতাধিক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে যার বেশিরভাগই মহারাষ্ট্রে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন বহু মানুষ।
টানা বৃষ্টিতে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ বন্যা। শত শত গ্রাম তলিয়ে গেছে বন্যার পানিতে। গত বুধবার সকাল থেকেই মুম্বাই ও আশপাশের জেলায় মুষলধারে বৃষ্টি হয়। ভূমিধসের কারণে রায়গড়েই অন্তত ৩২টি বাড়ি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
শুক্রবার (২৩ জুলাই) ভারতের পশ্চিমাঞ্চলের উপকূলে ৫৯৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ নিয়ে জরুরি বৈঠক করেছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী। দ্রুত সহায়তা পাঠাতে ও যেসব বাঁধ উপচে পড়ছে সেগুলো খুলে দিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
দুর্গম এলাকায় উদ্ধার তৎপরতায় দুর্যোগ মোকাবিলা দলের পাশাপাশি কাজ করছে ভারতীয় নৌবাহিনী। প্রবল বৃষ্টিপাতে সেতু ও মোবাইল টাওয়ার অচল হয়ে যাওয়ায় সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে একটি উপকূলীয় জেলা।
এছাড়াও ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের কর্ণাটক ও তেলেঙ্গানাতেও প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে নদীর পানি উপচে পড়ে বন্যার আশঙ্কা করছে স্থানীয় সরকার।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ইতোমধ্যেই ভারতের বাণিজ্যিক নগরী মুম্বাইসহ রাজ্যের একাধিক জেলায় ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করেছে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ। আগামী ৫ দিন ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তারা।
এদিকে, ভারি বৃষ্টির কারণে জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। চরম আবহাওয়ার কারণ হিসেবে মূলত জলবায়ু পরিবর্তনকেই দায়ী করছেন তারা।
নয়া শতাব্দী/এসইউ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ