সম্প্রতি নেট দুনিয়ায় এক বয়স্ক নারীর ছবি ভাইরাল হয়েছে। ছবিতে দেখা যায় এই নারীর চোখ যেন একেবারে কোটরে ঢুকে গেছে এবং চামড়া শুকিয়ে গেছে। সেখানে দাবি করা হয়েছে এই নারীর বয়স ৩৯৯ বছর! তিনিই বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক নারী। তবে বয়সের সংখ্যাটা অদ্ভুত না! ৩৯৯ বছর আবার কারো বয়স হয় নাকি! হিসাব বলছে, গত চার শতাব্দী ধরে বেঁচে আছেন এই নারী! আর এই হিসাব রীতিমতো অবাক করে দেয়ার মতো।
খবরটি প্রকাশ্যে আসা মাত্রই তার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য নানান খোঁজখবর শুরু হয়। সেখান থেকেই জানা যায়, এই ছবিগুলো আসলে এমন এক বৌদ্ধ ভিক্ষুর যিনি নিজেই নিজেকে মমিতে পরিণত করেছেন। এই নারীর ছবি শেয়ার করেছেন @auyary13 অ্যাকাউন্ট ব্যবহারকারী একজন টিকটকার। সে ওই নারীর নাতনি। তিনি একজন বৌদ্ধ ভিক্ষু, তার নাম লুয়াং ফো আই। তিনি থাইল্যান্ডে থাকেন এবং বর্তমানে হাসপাতালেই তার জীবন কাটান। তার আসল বয়স ১০৯ বছর। আর এই বয়সেও তিনি তার বেশিরভাগ কাজ নিজেই করেন। বর্তমানে, বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তির খেতাবের অধিকারী ১১৯ বছর বয়সি জাপানের কেন তানাকা। তিনি ১৯০৩ সালের ২ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। এই ছবিগুলো আসল, কিন্তু মানুষের দাবি সম্পূর্ণ ভুল। কারণ একজন মানুষ যদি ৪০০ বছর বেঁচে থাকে তাহলে তো বিজ্ঞান মিথ্যে হয়ে যাবে। বিজ্ঞান নিয়ে মানুষের মনে সন্দেহ জাগবে। এখনো পর্যন্ত মানুষের সর্বোচ্চ বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫০। এ প্রসঙ্গে মস্কোর ইনস্টিটিউট অব ফিজিক্স অ্যান্ড টেকনোলজির গবেষক পিটার ফেডিচেভের বক্তব্য, ওষুধ ও সঠিক খাবারের সাহায্যে একজন মানুষকে দীর্ঘদিন সুস্থ রাখা সম্ভব তা ঠিকই, তবে সেক্ষেত্রেও তার আয়ু হয়তো বড়জোর কয়েক বছর বাড়বে, কিন্তু চারশ’ বছর কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ