ঢাকা, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

প্রেমের টানে বাংলাদেশে তরুণী, ফিরলেন জেল খেটে

প্রকাশনার সময়: ২৪ মার্চ ২০২২, ১৯:১০

প্রেমেরটানে অবৈধ পথে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করে বিজিবির হাতে আটক হন ভারতীয় যুবতি মনিরা খাতুন (২০)। এ ঘটনায় তাকে তিনমাসের সাজা দেন বাংলাদেশের আদালত।

সাজা শেষে বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) দুপুরে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট সীমান্তের শূন্যরেখায় সীমান্ত পিলার ৭৬ নম্বরের কাছে এক বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক হয়। বৈঠকে ভারতীয় পুলিশ ও স্বজনদের হাতে তাকে তুলে দেওয়া হয়।

মনিরা খাতুন ভারতের নদীয়া জেলার ধানতলা থানার চাঁদপুর গ্রামের আইয়ুব আলী বিশ্বাসের মেয়ে।

বিজিবি ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার সময় ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার মাটিলা গ্রামের মহির উদ্দিনের মেহগনি বাগান থেকে ভারতীয় নাগরিক মনিরা খাতুনকে আটক করেন ৫৮ বিজিবির সদস্যরা। আটকের পর অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের দায়ে তাকে মহেশপুর থানায় সোপর্দ করে বিজিবি। পরে ঝিনাইদহ শিশু আদালতের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) চাঁদ মোহাম্মদ আবদুল আলিম আল রাজ মনিরা খাতুনকে তিনমাসের কারাদণ্ড দেন। ২০২১ সালের মার্চ মাসে আদালত থেকে তিনি জামিন পান। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে ভারতে ফেরত পাঠানো হয়।

মনিরা খাতুন জানান, তিনি নদিয়া জেলার বগুলা শ্রীকৃষ্ণ কলেজের বিএ প্রথমবর্ষে পড়ালেখা করছিলেন। তিন বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পিজন মুন নামের একটি আউডি থেকে ময়মনসিংহের সরাফাত হোসেন নামের এক ছেলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্কের এক পর্যায়ে তারা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। পরে বিয়ে করতেই বাড়ি থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেন।

মনিরা খাতুন বলেন, আবেগের বশে সিদ্ধান্ত নিয়ে জীবনে চরম ভুল করেছি। আমার মতো এ ভুল যেন আর কোনো মেয়ে না করে। যাকে ভালোবেসে এদেশে এসেছিলাম তিনি জেলে থাকাকালীন কোনোদিন খোঁজও নেননি।

পতাকা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দর্শনা ইমিগ্রেশনের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুল আলিম, দর্শনা থানার এসআই নীতিশ বিশ্বাস, বিজিবির নায়েব সুবেদার মো. আলাউদ্দীন, ওয়েব ফাউন্ডেশন মানবাধিকার কর্মী মো. আতিয়ার রহমান।

ভারতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন গেদে ইমিগ্রেশন অফিসার ইন্সপেক্টর সন্দীপ তিওয়ারি, বিএসএফের গেদে কোম্পানি কমান্ডার সুনীল পায়েল, কৃষ্ণগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর বাবিন মুখার্জি এবং মানবাধিকার সংস্থার চিত্ত রঞ্জন দে।

নয়া শতাব্দী/জেআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ