ভোটের বুথফেরত জরিপের ফলাফল ঘোষণার মাঝপথেই আঁচ করা গিয়েছিল, পাঞ্জাব রাজ্যের নাটাই অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল আম আদমি পার্টির (আপ) হাতেই থাকছে। শেষ পর্যন্ত তা-ই হলো। দিল্লির পর এবার পাঞ্জাবের রাজনীতিতেও নিজেদের আসন পাকা করলো দলটি।
রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে ১১৭টি আসনের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য ৫৯টিই যথেষ্ট ছিল। কিন্তু কেজরিওয়ালের দল সেখানে জিতে নিয়েছে প্রায় ১০০টি আসন। যেখানে রাজ্যের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস ঘরে তুলতে পেরেছে মাত্র গোটা বিশ আসন। এর মধ্য দিয়ে বিপুল সংখ্যাগারিষ্ঠতা নিয়ে ভারতের স্বাধীনতা পরবর্তী রাজনৈতিক সব সমীকরণ ভেঙে পাঞ্জাবের মসনদ দখলে নিলো আম আদমি পার্টি (আপ)।
বৃহস্পতিবার ভারতের পাঁচটি রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণা হয়। যেখানে চারটিতেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে দেশটির কেন্দ্রের শাসক দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। ওই চার রাজ্য হলো- উত্তরপ্রদেশ, গোয়া, মণিপুর ও উত্তরাখণ্ড। তবে কংগ্রেসের দুর্গ হিসেবে পরিচিত পাঞ্জাবে তাদের ধরাশায়ী করে বাজিমাত করেছে দিল্লির শাসক দল আম আদমি পার্টি।
এবার বিধানসভা নির্বাচনে দুটি আসনে ভোটে লড়ে দুটিতেই হেরেছেন কংগ্রেসের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিংহ চন্নী। আম আদমি প্রার্থীদের কাছে হেরেছেন উপ-মুখ্যমন্ত্রী ওমপ্রকাশ সোনি ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নভজ্যোৎ সিংহ সিধু।
এছাড়া শিরোমণি আকালি দলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ সিংহ বাদল ও তার ছেলে ভোটে হার নিয়ে ঘরে ফিরেছেন। যেখানে আপ দলের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ভগবন্ত মান (ধুরি) এবং বিদায়ী বিরোধী দলনেতা হরপাল সিংহ চিমা (দিরবা) ভূমিধস জয় পেয়েছেন।
আগেরবার পাঞ্জাবে আম আদমির পাওয়া ২০টি আসনের বিপরীতে কংগ্রেস পেয়েছিল ৭৭ আসন।
এদিকে শুধু পাঞ্জাব নয়, অন্য চার রাজ্যেও ভোটে হেরে ইভিএম পদ্ধতিকে দায়ি করে রাস্তায় নেমেছেন কংগ্রেস নেতারা।
এবারের বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশে সাত দফায় শেষ হওয়া ভোট নির্বাচন শুরু হয় ১০ ফেব্রুয়ারি। পাঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড ও গোয়ায় এক দফায় ভোট হয় ১৪ ফেব্রুয়ারি এবং মণিপুর রাজ্যে তিন দফায় ভোটগ্রহণ শুরু হয় ২৭ ফেব্রুয়ারি। বিগত সময়ে পাঞ্জাবে কংগ্রেস এবং অপর চার রাজ্যে ক্ষমতায় ছিল বিজেপি। কেন্দ্রশাসিত নরেন্দ্র মোদীর দল এ চার রাজ্যে আধিপত্য ধরে রাখলেও নিজেদের ঘাঁটিতে পতন দেখলো কংগ্রেস।
নয়া শতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ