রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ১১তম দিন চলছে। পরাশক্তিধর রুশ বাহিনীর বোমার আঘাতে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে ইউক্রেন। ইতোমধ্যেই প্রাণ বাঁচাতে সাধারণ নাগরিকরা দলবেঁধে প্রতিবেশী ইউরোপীয় দেশগুলোতে পাড়ি জমাচ্ছেন। কিন্তু দেশটির ১১ বছরের এক কিশোর একাই দেশ ছেড়ে স্লোভাকিয়ায় পৌঁছেছেন।
ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর এই কিশোর রীতিমতো নায়কের খ্যাতি পাচ্ছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, দক্ষিণ ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া ছেড়ে এই কিশোর একাই স্লোভাকিয়ায় পৌঁছেছে। জাপোরিঝিয়া থেকে এই পথের দূরত্ব ১৪’শ কিলোমিটার।
স্লোভাকিয়ান কর্তৃপক্ষ যখন এই কিশোরকে গ্রহণ করে তখন তার কাছে ছিল ব্যাকপ্যাক, প্লাস্টিকের একটি ব্যাগ এবং পাসপোর্ট। তার হাতে একটি টেলিফোন নম্বর লেখা ছিল।
স্লোভাকিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় তাদের ফেসবুকে এক বক্তব্যে জানিয়েছে, এই কিশোর একাই এসেছে কারণ তার মা-বাবা ইউক্রেনেই বসবাস করবে। স্বেচ্ছাসেবীরা তার যত্ন নিচ্ছে, তাকে উষ্ণ জায়গায় নিয়ে খাদ্য ও পানীয় দিয়েছে।
স্লোভাকিয়ান কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, কিশোরের হাতে লেখা তথ্য এবং পাসপোর্টের ভেতরে ভাজ করা আরেকটি কাগজ খুবই কাজে দিয়েছে। সীমান্তের কর্মকর্তারা এই কাগজে লেখা তথ্যের মাধ্যমে স্লোভাকিয়ায় অবস্থান করা কিশোরের স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সক্ষম হন।
স্লোভাকিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হাসির মাধ্যমে সে সবার মন কেড়ে নিয়েছে। তার সাহস এবং দৃঢ়তা সত্যিকারের নায়কোচিত। তবে কিশোর কেন একা একা সীমান্ত পাড়ি দিয়েছে সেটা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি।
সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, স্বতন্ত্রভাবে তারা এই কিশোরের ঘটনা যাচাই করতে পারেননি।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার জানিয়েছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর দেশটি থেকে ১৫ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এদের মধ্যে ছয় লাখ মানুষ প্রতিবেশী পোল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছে। এর বাইরে হাঙ্গেরি, রোমানিয়া, মলদোভা, শ্লোভাকিয়াসহ অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলোয় আশ্রয় নিয়েছে বাকিরা
১১দিন আগে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। দ্বিতীয় বিশ্বযুুদ্ধের পর ইউরোপে এই প্রথম এত তাড়াতাড়ি এত বেশি শরণার্থীর সংখ্যা বাড়ছে।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ