ঢাকা, রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

‘আমরা শান্তি চাই, সাক্ষাৎ চাই, যুদ্ধ শেষ করতে চাই’

প্রকাশনার সময়: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৪:৫৬ | আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৪:৫৮

দুই দেশের মধ্যে সংঘাত চলাকালীন অবস্থায় ইউক্রেনের সাথে আলোচনার জন্য রাশিয়ার পাঠানো প্রতিনিধিদের একটি দল বেলারুশে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে মস্কো। কিন্তু ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার আলোচনার এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন।

তিনি বলেছেন, রাশিয়া যদি বেলারুশ ভূখণ্ড থেকে ইউক্রেনে হামলা বন্ধ করে তবে মিনস্কে আলোচনা সম্ভব হতে পারে। এছাড়া এই সংকটের সমাধানে অন্যান্য স্থানে আলোচনার দরজা খোলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলেনস্কি।

ইউক্রেনের এই প্রেসিডেন্ট বলেছেন, আপনার ভূখণ্ড থেকে যদি কোনো আগ্রাসী পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে আমরা মিনস্কে কথা বলতে পারি... অন্যান্য শহর আলোচনার স্থান হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

তিনি বলেন, আমরা অবশ্যই শান্তি চাই। আমরা সাক্ষাৎ করতে চাই। আমরা যুদ্ধ শেষ করতে চাই। আমরা আলোচনার স্থান হিসেবে ওয়ারসো, ব্রাতিসলাভা, বুদাপেস্ট, ইস্তাম্বুল, বাকুর নাম প্রস্তাব করেছি।

ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, অন্য এমন একটি দেশের যেকোনো শহর আমাদের জন্য যথাযথ হবে; যাদের ভূখণ্ড থেকে আমাদের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়নি। সৎ আলোচনার জন্য এটিই একমাত্র উপায় এবং সত্যিই যুদ্ধের অবসান ঘটাতে পারে।

চতুর্থ দিনে দখল দুই শহর, অবরোধ আরও দু’টি

এদিকে, ইউক্রেনে সর্বাত্মক হামলা শুরুর চতুর্থ দিনে এসে দু’টি শহর দখলের পাশাপাশি ইউক্রেনের দক্ষিণে এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে আরও দু’টি শহর পুরোপুরি অবরোধ করার কথা জানিয়েছে রাশিয়া। রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত খেরসন শহর এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত বারদিয়ানস্ক শহর রুশ সেনারা পুরোপুরি অবরোধ করেছে বলে দাবি করেছে মস্কো। পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে চলমান সামরিক অভিযান আরও জোরদারের ঘোষণা দেওয়ার পর এই দু’টি শহর অবরোধের খবর সামনে এলো।

বেশ কয়েকটি রুশ বার্তাসংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগোর কোনাশেঙ্কোভ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টা ধরে ইউক্রেনের খেরসন এবং বারদিয়ানস্ক শহর পুরোপুরি অবরোধ করে রেখেছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী।’

এছাড়া ইউক্রেনে সর্বাত্মক আক্রমণ শুরুর চতুর্থ দিনে নোভা কাখোভকা নামে দেশটির একটি শহর দখলে নিয়েছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। নিউ কাখোভকা নামেও পরিচিত এই শহরটি ছোট হলেও কৌশলগতভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কাখোভকা শহরটি দিনিপার নদীর তীরে অবস্থিত এবং এই নদীটি পানি পথে সরাসরি ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।

নয়া শতাব্দী/এম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ