রাশিয়ার চালানো হামলা রুখে দিতে নিজ দেশের নাগরিকদের কাছে সাহায্য চেয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। পাশাপাশি তিনি সাহায্য চেয়ে ইউরোপীয় দেশগুলোকে আরো বেশি কিছু করার আহ্বান জানিয়েছেন।
হামলা শুরুর দ্বিতীয় দিনের মাথায় অর্থাৎ শুক্রবার দেওয়া এক ভাষণে তিনি এ সাহায্য চাইলেন। তিনি বলেন, রাশিয়ার ট্যাংক আমাদের আবাসিক ভবন উদ্দেশ করে গুলি চালাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে ইউরোপের এগিয়ে আসা উচিত।
তিনি আরো বলেন, দেরি না করে শিগগিরই ইউরোপ এগিয়ে আসতে পারে। রাশিয়ার আগ্রাসন থামিয়ে দেওয়ার মতো যথেষ্ট শক্তি তাদের রয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভোরে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরু হয়। হামলার পরদিন অর্থাৎ শুক্রবার দেশটির রাজধানীতে প্রথমবারের মতো রুশ সৈন্যদের ট্যাংক প্রবেশ করতে দেখা যায়। ইউক্রেন বলছে, স্বেচ্ছাসেবীদের ১৮ হাজার বন্দুক দেওয়া হয়েছে এবং পেট্রোল বোমা তৈরির কৌশল শেখানো হচ্ছে।
রাশিয়া তিন দিক অর্থাৎ উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব দিক থেকে হামলা অব্যাহত রেখেছে। ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে জোরালো বিস্ফোরণ ঘটছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লদিমির পুতিন ইউক্রেন সামরিক বাহিনীকে তাদের নিজস্ব সরকারকে উৎখাত করার আহ্বান জানিয়েছেন। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে তাদের সেনাবাহিনী কিয়েভের কাছে একটি বিমান ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। আবার হামলা শুরুর প্রথম দুই দিনে এক হাজারের বেশি রুশ সৈন্য নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন।
এদিকে ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান বন্ধে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির আলোচনার প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শুক্রবার মস্কোতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিনের প্রেস সেক্রেটারি দিমিত্রি পেসকভ।
নয়া শতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ