ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের প্রতিবাদে রাশিয়ার প্রধান প্রধান শহরগুলোতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন বহু মানুষ। এসব যুদ্ধবিরোধী মিছিলে ‘ইউক্রেন আমাদের শত্রু নয়, রাশিয়া যুদ্ধের বিরুদ্ধে’ ইত্যাদি স্লোগান দিচ্ছেন বিক্ষোভকারীরা। এদিকে, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিভাগ জানিয়েছে, যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ থেকে অন্তত ১৮৩১ জনকে আটক করেছে রাশিয়ার নিরাপত্তাবাহিনী। বিক্ষোভকারীদের আটকের নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ।
সেইন্ট পিটার্সবার্গে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ মিছিলে যোগ দেওয়া এক তরুণী আল জাজিরাকে বলেন, ‘আমার বলার কোনো ভাষা নেই। এটি (যুদ্ধ) কেবলই ঘৃণ্য একটি কাজ। আমাদের কি-ই বা বলার আছে। আমরা শক্তিহীন। যন্ত্রণা অনুভব করছি।’
এদিকে রাশিয়ার মস্কো, সেইন্ট পিটার্সবার্গ, সামারা, রিয়াজান এবং অন্যান্য শহরের শতাধিক মিউনিসিপ্যাল ডেপুটি রাশিয়ার নাগরিকদের উদ্দেশে একটি খোলা চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন। এতে তারা লিখেছেন, ‘আমরা, জনগণের দ্বারা নির্বাচিত ডেপুটিরা, ইউক্রেনের উপর রাশিয়ান সেনাবাহিনীর আক্রমণের নিন্দা জানাই। এটি একটি অতুলনীয় নৃশংসতা যার কোনো ন্যায্যতা থাকতে পারে না।’
সেইন্ট পিটার্সবার্গে ইউক্রেনের পতাকা হাতে নিয়ে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন এক ব্যক্তি। তিনি আল জাজিরাকে বলেন, ‘কমপক্ষে আমি এখানে এসে লজ্জিত নই। তবে এখানে আসার আগে আজ সকালে আমি লজ্জিত ছিলাম।’
তবে তাদের এমন প্রতিবাদ ইউক্রেনে যুদ্ধ থামাতে আদৌ কাজে আসবে কি না সে ব্যাপারে নিশ্চিত নন অনেকেই। অবশ্য এক বিক্ষোভকারী আশা প্রকাশ করে বলেছেন, আমরা এখানে যতক্ষণ আছি ততক্ষণ আশা আছে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার ইউক্রেন স্থানীয় সময় ভোর ৫টায় (বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টায়) ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। দিনভর জলে, স্থলে, অন্তরীক্ষে তিন দিক থেকে ইউক্রেনের ৮০টির বেশি সামরিক ও বেসামরিক স্থাপনায় অভিযান চালিয়েছে রুশ সেনারা। রুশ হামলার প্রথম দিনে ইউক্রেনের ১৩৭ নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সেদেশের প্রেসিডেন্ট ভলদোমির জেলেনস্কি। অন্যদিকে মস্কো জানিয়েছে, প্রথম দিনের অভিযানে রাশিয়ার ১২ জন সেনা প্রাণ হারিয়েছেন।
নয়া শতাব্দী/এস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ