যুদ্ধের অশনি সংকেত দেখা গিয়েছিল কয়েক সপ্তাহ আগেই। ফেব্রুয়ারির শেষের দিকেই আশঙ্কাকে সত্যি করে হামলা চালালেন ভ্লাদিমির পুতিন। করোনা মহামারিতে বিধ্বস্ত বিশ্ব যখন ধীরে ধীরে ছন্দে ফেরার চেষ্টায়, তখনই এ ধরনের হামলার খবর এলো।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নিজেই ঘোষণা করেছেন ইউক্রেনে রুশ হামলার কথা। কিয়েভ এরই মধ্যে জানিয়েছে, রুশ হামলার ফলে ১৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
কিন্তু কেন এই সংঘাতের পথ বেছে নিলো রাশিয়া? কোন আশঙ্কা থেকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে হামলার সিদ্ধান্ত নিলেন? একনজরে দেখে নেয়া যাক এসব প্রশ্নের কিছু উত্তর।
জানা গেছে, রাশিয়া ও ইউক্রেনের সংঘাতের নেপথ্যে মূল কারণ হিসেবে রয়েছে ন্যাটো। ন্যাটোর আওতায় রয়েছে ৩০টি দেশ। এর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও জার্মানি। আর এই গোষ্ঠীভুক্ত হওয়ার চেষ্টায় রয়েছে ইউক্রেন। এ ঘটনা নিয়েই মূলত দেশ দুটির মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়।
বিভিন্ন ইস্যুতে আগে থেকেই রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক তলানিতে রয়েছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রই রয়েছে ন্যাটোভুক্ত দেশের তালিকায়। এদিকে, ইউক্রেন চাইছে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানির মতো দেশগুলোর সঙ্গে তারাও ন্যাটোর আওতায় চলে আসুক। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একই গোষ্ঠীতে প্রতিবেশী ইউক্রেনকে দেখতে নারাজ রাশিয়া। এদিকে ন্যাটো ইউক্রেনের জন্য নিজের দরজা খুলে দিয়েছে। এইঘটনা মস্কোকে খুব একটা স্বস্তি দেয়নি।
ন্যাটোভুক্ত যেকোনো দেশে বহিরাগত আক্রমণের ক্ষেত্রে বাকি সদস্যদেশগুলোর সহায়তা পেয়ে যায় আক্রান্ত দেশ। আর রাশিয়ার প্রতিবেশী ইউক্রেন যদি ন্যাটোতে প্রবেশ করে, তাহলে তাকে সহায়তা করতে আসবে সদস্য দেশগুলো। আর এতেই ক্ষুব্ধ ছিল রাশিয়া।
তাছাড়া ২০১৪ সালে রাশিয়া প্রথমবার ইউক্রেনে প্রবেশ করে। তখন প্রেসিডেন্ট পুতিন সমর্থিত বিদ্রোহীরা ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের বেশ বড় একটি এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। এরপর থেকেই তারা ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করে আসছে।
যুদ্ধ বন্ধে একটি আন্তর্জাতিক মিনস্ক শান্তি চুক্তি হয়েছিল, কিন্তু লড়াই তাতে থামেনি। আর এ কারণেই রাশিয়ার নেতা বলছেন, ওই অঞ্চলে তিনি তথাকথিত শান্তিরক্ষী পাঠাচ্ছেন।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ