মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বাংলা ভাষার জন্য বাঙালিদের আত্মত্যাগ আজ বিশ্ববাসীর কাছে স্বীকৃত ও সম্মানিত। যার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে পৃথিবীর প্রত্যেকটি মাতৃভাষাকে সম্মানিত করা হয়েছে।
মহান শহিদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২২ উদ্যাপনের অংশ হিসেবে গত বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) মিশরের রাজধানী কায়রোতে বাংলাদেশ দূতাবাসের হল রুমে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দু’দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে পবিত্র কোরআন তেলওয়াত, ভাষা শহিদদের রুহের মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নতি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এসময় অমর ভাষা শহিদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রেরিত ১২ সদস্যের একটি নৃত্যদল ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশী নৃত্য পরিবেশন করে উপস্থিত দর্শকদের বিমুগ্ধ করে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, ১৯৫২ সালে তারা যদি শহিদ না হত, বাংলা ভাষার জন্য রক্ত না ঝরাত, পরবর্তিকালে কখনোই স্বাধীনতা অর্জন করা সম্ভব হত না। তাই আমাদের আজকের যে অবস্থা তার সব কিছুর মুলেই হচ্ছে ভাষা শহিদগণ।
শহিদদের আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, কোনো রক্তই বৃথা যায় না। আর যায় না বলেই আজ স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
মন্ত্রী ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধকালের সময় তার কিছু স্মৃতিচারণ করে বলেন, খুবেই তরুণ বয়সে আমার সুযোগ হয়েছিল ৭১ সালের ১৯ মার্চ বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে গাজীপুরে ব্রিগেডিয়ার জাহান জেবের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধে সশস্ত্রভাবে সম্মুখ যুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়ার।
মন্ত্রীর সঙ্গে যাওয়া চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তাছাড়া কায়রোর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত বাংলাদেশী অধ্যাপক, শিক্ষার্থী, কর্মজীবী এবং বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত পেশাজীবীরাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ